ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ১৮ মে ২০২০

ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৭ মে ॥ করোনাভাইরাসের দুর্যোগময় সময়ে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি গ্রামের দাখিল মাদ্রাসা এলাকার টাঙ্গন নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলনের মচ্ছবে মেতেছে বালু খেকোরা। এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী লোকজন প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের পর টলি বোঝাই করে নিয়ে বিক্রি করছে। এর ফলে নদীর তীরে ভাঙ্গনসহ বালি ভর্তি গাড়ি যাতায়াতের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, তাদের বাড়ির পাশ দিয়ে এভাবে প্রতিদিন বালুর গাড়ি চলাচল করায় তাদের রাস্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। যশোরে নদ খননের নামে বালু বিক্রি স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান, ভৈরব নদ খননের নামে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। গত বছর জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে যখন মানুষ ঘর বন্দী, সেই সময় দ্রুত নদ খননের নামে নদ থেকে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বড় বড় কয়েকটি পুকুর ভরাট করা হয়েছে। তার মালিকদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। জানা গেছে, ভৈরব রিভার বেসিন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সদরের কনেজপুর থেকে বিরামপুর জমিদার বাড়ি পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার খননের কাজ পায় ঢাকার ডলি কন্সট্রাকশন লিমিটেড। কাজ শুরুর কথা ছিল ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর। আর শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ১২ জুন। খননের চুক্তি মূল্য ছিল ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কাজ শুরু না করে করোনার কারণে যখন মানুষ ঘর বন্দী সেই সময় চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে তড়িঘড়ি করে ৫০টি ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে নদ থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। সেই বালু নদের পাশে বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘিরে তার মধ্যে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি আশপাশের পুকুর এবং দীঘি ভরাট করা হচ্ছে ওই বালু দিয়ে। এ জন্য পুকুর এবং দীঘি মালিকদের কাছে লাখ লাখ টাকার বালু বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ নদী খননের সিডিউলে স্পষ্ট লেখা আছে নদের ওপরে গড়ে টপ টু টপ হবে ৪৫ মিটার। আর খননের গড় গভীরতা ২ দশমিক ৭৫ মিটার। নদের তলা হবে ৩২ মিটার। কিন্তু ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় এসবের কিছুই হচ্ছে না। এ ব্যাপারে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, দেরি করে কাজ শুরু করলেও তারা সঠিকভাবে কাজ করছে। এভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বিক্রি করা যায় কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, খননের যে ডিজাইন আছে, সে অনুযায়ী হচ্ছে।
×