দিল্লী লকডাউন তুলে নেয়ার জন্য প্রস্তুত। দুইদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এমন তথ্যই জানিয়েছিলেন। তবে সোমবার প্রেস কনফারেন্সে সোমবার এ বিষয়ে খোলসা করে দিল্লীবাসীর উদ্দেশে তিনি আবারও বলেন, ‘আমাদের করোনার সঙ্গে বসবাসের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কারণ রাজধানীকে পুনরায় খুলে দেয়ার সময় হয়েছে।’ এনডিটিভি।
কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লীতে লকডাউন তুলে দেয়া হলেও সংক্রমিত এলাকাগুলো বন্ধ রাখার জন্য আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি। বাকি এলাকাগুলোকে সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সবুজ জোনের দোকানগুলো জোড়-বিজোড় দিন হিসেবে খোলা রাখা যায়। লকডাউন পুরোপুরি উঠে যাওয়ার পরও এটা থাকতে পারে। যদি সংক্রমণ আবার বাড়ে তাহলে সেটা মোকাবেলায়ও আমরা প্রস্তুত। তবে যানবাহনের ক্ষেত্রে দুই চাকার যানে একজন, চার চাকার ব্যক্তিগত যানে চালকসহ তিনজন চলাচল করতে পারবে।
দিল্লীতে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ৪ হাজার ১২২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৫৬ জন আর মারা গেছেন ৬৪ জন। এ অবস্থার মধ্যেই লকডাউন শিথিল করেছে দিল্লী সরকার। বেসরকারী অফিসও খোলার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লী। তবে ৩৩ শতাংশ কর্মী কাজ করতে পারবেন। সেটা আবার আইটি ও জরুরী সামগ্রী উৎপাদন কারখানা বা অফিস। এছাড়াও প্রয়োজনীয় পণ্য, আইটি পরিষেবা, কল সেন্টার, এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা পরিষেবাগুলোর জন্য ই-বাণিজ্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। তবে জনবহুল মার্কেট এলাকা অবশ্যই বন্ধ থাকবে। স্টেশনারি ও মুদি দোকান খোলা রাখা যাবে আবাসিক ও পাড়া মহল্লায়। প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রনিক্স ও গৃহস্থালি কাজের সঙ্গে জড়িতরাও কাজ শুরু করতে পারেন বলে জানিয়েছে দিল্লীর রাজ্য সরকার। দিল্লী ছাড়াও মহারাষ্ট্র, কেরালা প্রভৃতি রাজ্যও লকডাউন শিথিল করে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। ৪ মে থেকে ভারতে শুরু হয়েছে তৃতীয় মেয়াদে দুই সপ্তাহের লকডাউন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: