ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমরা কি পারি না একবার ঈদ বাজার স্যাকরিফাইস করতে?

প্রকাশিত: ২১:২৫, ১৬ মে ২০২০

আমরা কি পারি না একবার ঈদ বাজার স্যাকরিফাইস করতে?

শান্তিতে থাকুক আনিস স্যার শনিবারের লেখাটা শেষ করে পত্রিকায় পাঠাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, হকার কাগজ দিয়ে গেল, জনকণ্ঠ প্রথম আলোসহ দেশের দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায় জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান স্যারের যে ছবিটি ছাপা হয়েছে তা দেখে কি মনে হবে স্যার নেই? তিনি চলে গেছেন? আর ফিরে আসবেন না? না, বাস্তবতা ভিন্ন, তাকে অস্বীকার করা যাবে না। সর্বনাশা করোনা আমাদের ভাই-বোন বাবা-মা দাদা-দাদু সবার প্রিয় আনিস স্যারকেও কেড়ে নিল। আল্লাহর লা’নত পড়ুক ঐ দুষ্ট ভাইরাসের ওপর। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আনিস স্যার আপনি শান্তিতে থাকুন। আজ এ পর্যন্ত। আমার সরাসরি শিক্ষক, দেশের প্রতিটি সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথের শ্রদ্ধেয় অভিভাবক আনিসুজ্জামান স্যার সম্পর্কে ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছা আছে। আমরা কি পারি না একবার ঈদ বাজার স্যাকরিফাইস করতে? যার সঙ্গে দেখা হবে তাকে প্রশ্নটি করা আজকের বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মার্চ-এর ৮ তারিখ থেকে শুরু করে অদ্যাবধি দুই মাস অতিক্রান্ত হলো করোনা বা কোভিড ১৯ পরিস্থিতির এতোটুকু পরিবর্তন হয়নি। বরং খারাপের দিকেই যাচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। কখন কে মারা যাবে কখন কে আক্রান্ত হবে কেউ বলতে পারছে না। বিশ্ববিখ্যাত সব বিজ্ঞানী সব নোবেল লরেট গবেষণাগারে পড়ে আছেন কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছেন না। এমনকি এই দুষ্টু ভাইরাসটির জন্মস্থান চীনের উহান শহরে আবারও কোভিড ১৯ দেখা দিচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা আরও করুন। এখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা, পুলিশ সদস্যরা কর্তব্যরত অবস্থায় দেদার আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। প্রতি শনিবার চতুরঙ্গ পাতায় আমার লেখা ছাপার জন্য নির্ধারিত জায়গা রয়েছে। কিন্তু অনিবার্য কারণে পাতাটি সাময়িক বন্ধ থাকায় এ লেখা ছাপা হবে সামনের শনিবার সম্পাদকীয় পাতায়। এদিকে রোজা খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে। এর পরের শনিবার লেখার সুযোগ পাব কি-না জানি না তাই আজকের এই সুযোগে প্রশ্নটিই রেখে গেলাম। যদি বলা হয় এ মুহূর্তে মহৎ কাজ কি? এক বাক্যে বলা যাবে গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ৫/১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ-এর একটা প্যাকেট নিয়ে যে রাজনৈতিক বা সংস্কৃতিকর্মী গ্রামবাংলার কোন এক অসহায় বৃদ্ধার জীর্ণশীর্ণ ঘরের দরজায় দাঁড়াবেন তিনি কেবল যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তা-ই নয় মহান আল্লাহর কাছেও তিনি হবেন প্রিয় বান্দা। সামনের ঈদটি হলো ঈদ-উল-ফিতর। নজরুলের ভাষায় ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ এই ঈদটি সত্যি খুবই আনন্দের। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর এই দিন সেমাই জর্দা খাব, নতুন জামা কাপড় পরে ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে যাব। একজন মুসলমান বিশেষ করে বাঙালী মুসলমানদের কাছে এই গুরুত্ব অপরিসীম। নিজে খাব এবং আত্মীয়স্বজন বা প্রতিবেশীকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবার মধ্যে যে আনন্দ তার কোন তুলনা নেই। কিন্তু এবার সে আনন্দ একেবারেই নেই। কেবল বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী ১৩ মে পর্যন্ত আক্রান্ত অর্ধকোটি এবং মৃত্যু প্রায় তিন কোটি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি হলো ঐ সময়ে মোট আক্রান্ত ১৬,৬৬০ এবং মৃত্যু ২৫০ জন। বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত এবং মৃত্যু থেমে নেই দিন দিন বেড়েই চলেছে। কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বব্যাপী শত কোটি মানুষ চাকরিহারা হচ্ছে। আমেরিকার মতো শক্ত অর্থনীতিতেও কাগজের খবর হলো দুই কোটি মানুষ চাকরিচ্যুত হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ গার্মেন্টসহ বেসরকারী খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মী কাজ করে। তারচেয়েও বেশি করে স্ব-উদ্যোগে কর্মসংস্থান অর্থাৎ সেলফ এমপ্লয়মেন্ট। এই মানুষগুলো দুই মাসের ওপরে হলো সব বন্ধ এবং কর্মীরা চাকরিচ্যুত আর আমাদের দেশের মালিকরাও এতটা সৎ কর্মবান্ধব নয় যে কাজ না চললেও বাড়ি গিয়ে বেতন দিয়ে আসবেন। বরং বেতন-ভাতা না দেবার এমন মোক্ষম সুযোগ মালিকদের আর নেই। দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করাকালে গল্প শুনেছিলাম সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া আয়ুব খাঁর রোষানলে পড়ে কারারুদ্ধ হবার পর কারাগার থেকেই সাংবাদিক-কর্মচারীদের ডেকে নিয়ে এক একটি চেক হাতে ধরিয়ে দিতেন। তিনিতো ছিলেন মানিক মিয়া। তার ছেলেদের সময় (স্বাধীনতার পর) বড় মানিক তো পারলে এক পয়সা না দিয়েই কাজ করাতে চাইতেন। আজকের মালিকরা সেই বড় মানিকেরই মডেল। আমরা কি পারি না এবার ঈদ বাজার স্যাকরিফাইস করতে? এক ঈদ মার্কেটিং স্যাকরিফাইস করলে কিছু হাবাতে ক্রেতার স্থলে হাভাতে দোকানদারের দল দামী দামী পোশাক আমদানি করে। বিশেষ করে নারীদের কথা চিন্তা করে। কাগজেই ছাপা হয়েছে বহুবার একজন তরুণী (অবশ্যই ধনাঢ্য বাবার অবাধ্য সন্তান অথবা সৎ সন্তানের চোর লুটেরা বাবা) একটি লেহেঙ্গা (ভারতীয়) খরিদ করেছে ৬০/৭০ হাজার টাকায়। আর ঐ সব ছেলে মেয়েদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্যাশন হাউসগুলো বাজারে ছাড়ে নানান ফ্যাশনের সব পোশাক-আশাক। বেশ কিছুদিন থেকে পাঞ্জাবির ফ্যাশনও চলছে দেদার। একটা পাঞ্জাবি একজন ২০/২৫ হাজার টাকা দিয়ে খরিদ করছে। থ্যাংক গড এবার সেই হাভাতেপনা নেই। কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের কারণে এবার দোকান মালিকরা সে সুযোগ পায়নি। লকডাউনে পড়ে দোকানপাট সব বন্ধ থাকার কারণে আমার ধারণা কম ব্যবসায়ীই তেমন বোকামো করেছে। কিছু কিছু দোকান এখন খুলেছে। তাতেও দুই মাস লকডাউনে থাকায় অন্তত এই রোজার ঈদটা হাতছাড়া হয়ে গেল। তবে এটা ঠিক এই ধরনের হাভাতেপনা গ্রামাঞ্চলে এখনও পুরোপুরি জেঁকে বসতে পারেনি। কিছু কিছু চোর লুটেরা বাবা এখন গ্রামাঞ্চলে রয়েছে। তারা ঐ হাভাতেপনার পথে থাকে। আর সব মানুষ তাদের সন্তানের দিকে তাকিয়ে থাকে। আরেকটি ব্যাপার হলো টেলিভিশন। ফ্যাশন হাউসগুলো তাদের নিজ নিজ ডিজাইন করা জামা কাপড় এমনভাবে সুন্দরী তরুণীদের এবং তরুণদের দিয়ে ডিসপ্লে করতে থাকে শিশু-কিশোর তরুণ-তরুণীদের এমন ভাবে আকৃষ্ট করে যে তারা লেটেস্ট ডিজাইনের লেহেঙ্গা বা নজরকাড়া কাজ করা পাঞ্জাবিটি পেতে চায়। বায়না ধরেও না পেলে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। টেলিভিশন ব্যবসায়ীরা আরেকটি বাড়াবাড়ি করে চলেছে এবারের রমজানেও। প্রত্যেকটি চ্যানেলে রান্না-বান্নার একটা অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় তাতে যেমন মুখরোচক রান্নার ব্যাপার থাকে তেমনি থাকে রকমারি রিচ ফুড। কিন্তু ঐ রিচ ফুডের রান্না কেবল উচ্চবিত্তের জন্যই। গরিব মানুষ বরং এসব দেখে কষ্ট পায়। গরিব সন্তানের গরিব মা-বাবা নীরবে চোখের পানি ফেলে। এদের দিকে তাকিয়েই এবার ইফতারের অনুষ্ঠানগুলো সংকুচিত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমাদের মতো ভদ্রলোকদেরও সংযত হওয়া উচিত। অবশ্য ২০০৬/৭ সালে যখন রাজপথে লা-ওয়ারিশ টাকার বস্তা বা গাড়ি পড়েছিল তখনও যেমন শিক্ষা হয়নি ভবিষ্যতে যে হবে তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়। তবে এবার মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন নয় এবার কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস, যাকে ছোঁয়া যায় না, দেখা যায় না, কথা বলে না, কথা শুনে না, আসে এবং প্রাণটা নিয়ে চলে যায়। কোনদিক দিয়ে আসে কোনদিক দিয়ে চলে যায় কেউ জানে না রেখে যায় কেবল লাশ আর লাশ। এর শেষ কোথায় তাও কেউ জানে না। বাঘা বাঘা দেশ ও বিজ্ঞানীরাও ফেল। এবং এর মধ্যেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে যেভাবে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে তাতে করে করোনা মহামারী-উত্তর খাদ্যাভাবজনিত আরেকটি মহামারী দেখা দেয়াটা অস্বাভাবিক নয়। যদিও আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কোভিড-১৯-এর শুরুতেই মানুষের খাদ্যের ব্যাপারটা গুরুত্ব দিয়েছেন। এক্ষেত্রে দেশজ উৎপাদন বেশি কার্যকর এ জন্য যে, চাল রফতানি দেশ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এর মধ্যেই চাল রফতানি করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বলে কাগজে প্রকাশিত হয়েছে। এই দেশ দুটি চাল রফতানিতে বড় দেশ। অতএব তিনি আমাদের দেশজ উৎপাদনের ওপর জোর দেবার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি-শিল্পসহ সর্বক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদী না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। যে জমিতে ধান উৎপাদন হবে না বা ধান উৎপাদন সম্ভব নয় সে জমিতে শাকসবজি ফল ফলাদি উৎপাদন করতে হবে। চাতক পাখির মতো বাইরের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। এবার বাইরের কেউ খাবার দেবে না অর্থাৎ দিতে পারবে না। যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স জার্মানি রাশিয়া চীন কোরিয়ার মতো দেশও করোনার ছোবলে কাবু। এতদিন আলাদা কাতার মেনটেইন করত। এবার কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নেমে এসেছে। তবে মজুত ভাল বলে তারা প্রথম দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে পারবে। আমরা তো প্রথম ধাক্কায়ই কাবু। চারদিকে খাবার চাই খাবার নাই রব। শেখ হাসিনাও প্রথম থেকেই গ্রামে-গঞ্জে গরিব দিনমজুর তথা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ শুরু করেছেন। বলেছেন একটি মানুষও যাতে না খেয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছেন তখন মানুষ না খেয়ে থাকবে না ইনশাল্লাহ। কারণ এই প্রধানমন্ত্রীর কোন লাভ নেই। নিজের যে দুটি বাড়ি ছিল পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া টুঙ্গিপাড়া ও ধানমন্ডিতে তাও তারা দু’বোন বাংলার জনগণকে দান করে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত তিনি দূরদর্শী। ১৯৯৮ সালের বন্যা আমরা দেখেছি। তখন দেশী-বিদেশী কিছু দেশ ও সংস্থা বলেছিল অন্তত ২ কোটি লোক মারা যাবে দুর্ভিক্ষে। কিন্তু শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ পদক্ষেপে একটি লোকও না-খেয়ে মারা যায়নি। দুর্ভিক্ষ শব্দটিও মানুষের জীবন থেকে ডিকশেনারিতে উঠে গেছে। এবারও ইনশাল্লাহ মোকাবেলা করবে বাঙালী জাতি। ঝড়-ঝঞ্ঝা, খাদ্যাভাব দুর্ভিক্ষ, বিদেশী আগ্রাশন, দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধের মতো রক্তাক্ত পরিস্থিতির মোকাবেলা করে আমরা আজ বিশ্বের মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি যা দেখে বড় বড় দেশও চোখ বড় করে তাকায়। হ্যাঁ এবারের করোনায় সে গতি স্লো হয়েছে, থেমে থাকেনি। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আর সেজন্যই আমরা এবার ঈদ মার্কেটিং না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের একটি পরিবারের স্যাকরিফাইজে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তত বিশটি পঁচিশটি পরিবার বাঁচতে পারবে। কারণ ঈদে ওদের চাহিদা একেবারেই সীমিত অর্থাৎ এক প্যাকেট সেমাই সুজি চিনি আর ছোট বাচ্চাদের জন্য ফুটপাথ থেকে একটা মাত্র জামা। আগেই উল্লেখ করেছি একটা লেহেঙ্গার দাম ৬০/৭০ হাজার টাকা, একটা পাঞ্জাবির দাম ২০/২৫ হাজার টাকা। এদিক থেকে একটা লেহেঙ্গার দামে ৬০/৭০টি বা একটা পাঞ্জাবির দামে ২০/২৫টি পরিবারের ঈদ উদযাপন হয়ে যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে। যদিও ঐ টাকাতো আর গরিবের ঘরে যাবে না। যে লোক ঈদ বাজার স্যাকরিফাইজ করবেন তিনি নিশ্চয়ই দশটা বিশটা গরিব মানুষকে সাহায্য করবেন না। বাংলায় এই ঐতিহ্য আবহমান কাল থেকে ছিলনা, আজ আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। সেই সঙ্গে আসুন না আমরা সবাই মিলে অন্তত এক মাসের বেতন স্যাকরিফাইজ করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণতহবিলে দান করি। আমরা জনপ্রতিনিধি এবং গণকর্মচারী অন্তত এক কোটি হবে যারা সরকারের কোষাগার থেকে বেতন ভাতা গ্রহণ করি। আর সরকারী কোষাগারটা গড়ে ওঠে জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। এমপি মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী উপমন্ত্রী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাউন্সিলর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ইউপি চেয়ারম্যান সদস্য এরা প্রত্যেকেই যদি এক মাসের বেতন ভাতা দান করেন (আমিসহ) তাহলে যে টাকা আসবে তাতে করে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব। জনপ্রতিনিধিদের বুঝতে হবে কেন প্রধানমন্ত্রী এবার ত্রাণ তৎপরতা মনিটর করার জন্য আমলাদের দিয়েছেন। খুব ব্যাপকভাবে না হলেও এবার ত্রাণ-দুর্নীতিতে যাদের নাম এসেছে তারা হয় জনপ্রতিনিধি নয়তো নেতাকর্মী। চাঁদপুর জেলা সদরে এমন দুটি ঘটনা ঘটেছিল এবং তা ধামাচাপা দেবার জন্য প্রশাসনিক টেকনিক ব্যবহার করা হয়। কাজেই প্রশাসনিক কর্মকর্তা অর্থাৎ সচিব থেকে ছোট সচিব সবারই এক মাসের বেতন ভাতা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণতহবিলে কেটে নেয়া দরকার। ডেপুটি সেক্রেটারি থেকে সিনিয়র সচিব তারা যে জীবন যাপন করেন তা উন্নত দেশের সচিবদেরও ভাগ্যে জোটে না। তাই কিছুটা হলেও কৃতজ্ঞতা বোধ থাকা দরকার। ঢাকা- ১৪ মে ২০২০ লেখক : এমপি, সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×