ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী নিহত

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ১৩ মে ২০২০

যশোরে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরে বাবু (৪০) নামে এক ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সোমবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার সাড়াপোল এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাটি ঘটে। অপরদিকে, অভয়নগর উপজেলার রাজঘাটের মোয়াল্লেমতলায় প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে সাবেক এক চরমপন্থী সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে আতাই (৫৭) উপজেলার মোয়াল্লেমতলা এলাকার মৃত শেখ ইসমাইলের ছেলে। যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম বলেন, ‘একদল সন্ত্রাসী অপরাধমূলক কাজ করার জন্য সাড়াপোল কালাবাগ এলাকায় অবস্থান করছিল বলে খবর পাওয়া যায়। সেই অনুযায়ী মধ্যরাতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।’ ‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও দশ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পাল্টা জবাব দেয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা তল্লাশি করে একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই ব্যক্তি। এলাকাবাসী তাকে বাবু বলে শনাক্ত করেন। পুলিশ ইন্সপেক্টর তাসমীম বলেন, নিহত বাবুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকের মোট ১২টি মামলা আছে। অন্যদিকে, যশোরের অভয়নগর উপজেলায় নিজেদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এক চরমপন্থীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে আতাই (৫৭) উপজেলার মোয়াল্লেমতলা এলাকার মৃত শেখ ইসমাইলের ছেলে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোয়াল্লেমতলায় তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, কয়েকজন আতাইকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আতাই মারা যায়। পুলিশের ধারণা, চরমপন্থী নিশান হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এই হত্যাকা- ঘটেছে। কক্সবাজারে ইয়াবা কারবারিদের গুলিতে আহত ৮ স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার থেকে জানান, ইয়াবা বিক্রি ও সেবনে বাধা দেয়ায় গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণ করেছে মাদক কারবারিরা। এতে নারী ও শিশুসহ ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার রাতে বেপারিপাড়া ও চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত গ্রামবাসীর অভিযোগ, মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় স্থানীয় মাদক বিক্রেতারা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলা চালিয়েছেন। আহতরা হলেন, রমজান আলী, কহিনুর আক্তার, সুমাইয়া আক্তার (শিশু), কামাল হোসেন, কবির আহাম্মদ, ছমিরা আক্তার, আনোয়ারা বেগম ও সুহানা (শিশু)। তারা সবাই ঝিলংজা খরুলিয়া চরপাড়ার বাসিন্দা। এলাকাবাসী জানান, খরুলিয়া বেপারিপাড়ার আশরাফ আলীর পুত্র রমজান আলী ও সামশুল হকের ছেলে মোঃ শফি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছে। পাশাপাশি গ্রাম হওয়ায় চরপাড়ার গ্রামবাসী তাদের মাদক বিক্রিতে বেশ কয়েকবার বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সহযোগী বেপারিপাড়ার জামাল হোসেন, জসিম উদ্দিন, মোঃ আলীর ছেলে সহোদর দুই ভাই রাশেদ, মোরশেদ ও জাহেদসহ ১৫-২০ জন মাদক বিক্রেতা দেশীয় অস্ত্র, রামদা, চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে রমজান আলীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
×