ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে কোন জামানত লাগবে না কৃষি, খামার কিংবা সেলাই মেশিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে প্রবাসীদের কল্যাণে দুই শ’ কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠন

কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে ॥ প্রবাস থেকে স্থায়ী ফেরতদের

প্রকাশিত: ২২:৫০, ১৩ মে ২০২০

কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে ॥ প্রবাস থেকে স্থায়ী ফেরতদের

রহিম শেখ ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে গত কয়েক মাসে দেশে ফিরেছেন কয়েক লাখ প্রবাসী শ্রমিক। এরমধ্যে অনেকেই স্থায়ীভাবে ফিরে এসেছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন দেশ থেকে আরও প্রায় ২৯ হাজার প্রবাসী দেশে ফিরে আসছেন। এছাড়া বিদেশে অবস্থানরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী এখন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় যারা দেশে ফেরত এসেছেন তারা কবে নাগাদ যেতে পারবেন কিংবা আদৌ যেতে পারবেন কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা। তবে সরকার এসব বিদেশফেরত প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। স্থায়ীভাবে ফিরে আসা বিদেশফেরত প্রবাসী কর্মীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবে সরকার। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে লাগবে না কোন জামানত। এছাড়া বিদেশফেরত নারী কিংবা পুরুষ কর্মীদের কৃষি, খামার কিংবা সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। এর ফলে পুরোপুরি উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে বিদেশফেরত কর্মীরা। ইতোমধ্যে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের কল্যাণে দুইশ’ কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠন করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজেও প্রবাসফেরত কর্মীদের জন্য আলাদা তহবিল থাকবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, বিশ্বের ১৬৯টি দেশে বাংলাদেশের ১ কোটি ২০ লাখের মতো শ্রমিক রয়েছেন। প্রায় ৭৫ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্যের ৬টি দেশে থাকেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে প্রায় ২২ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মরত। সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে সাইফুল রাজীব ও রিয়াদ থেকে ফকির আলামিন জানান, দেশটিতে প্রায় তিন-চার লাখ শ্রমিক অবৈধভাবে কাজ করছেন। এর বাইরে ফ্রি ভিসা নিয়ে অনেকটা অবৈধ প্রক্রিয়ায় ব্যবসা করছেন আরও পাঁচ-ছয় লাখ শ্রমিক। করোনার প্রভাবে ইতোমধ্যে অনেক শ্রমিক বাংলাদেশে এসেছেন। তারা বলেন, চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেশে ফিরে যেতে শ্রমিকদের বাধ্য করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের এক পরিবারের তিনভাই মাস চারেক আগে দেশে এসেছিলেন। কবে আবার কাজে ফিরতে পারবেন সেটি নিয়েই তারা উদ্বিগ্ন। কাতার প্রবাসী ইমরান হোসেন শিবলু বলেন, উপার্জনকারী তিন ভাই প্রত্যেকে এখন দেশে একজন বিদেশে থাকলেও হয়তো সাপোর্ট পাওয়া যেত। দুশ্চিন্তা কাজ করতেছে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আগামী কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৯ হাজার প্রবাসী দেশে ফিরে আসছেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি জানিয়েছেন, সৌদি আরব থেকে আরও ৪ হাজার ২৬২ জন আসার সম্ভাবনা আছে। ওমান থেকেও এক হাজার বাংলাদেশীকে আনা হবে। ইরাকেও অনেক শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। তারাও ফিরবেন। কুয়েত থেকে ফিরতে পারেন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বাংলাদেশী। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্দান, লেবানন প্রভৃতি দেশ থেকে প্রবাসী অনেক বাংলাদেশীকে ফিরতে হচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ৩ হাজার ৬৯৫ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন, যাদের একটি বিরাট সংখ্যক জেলে আটক ছিলেন। জানতে চাইলে ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচীর প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, নতুন কর্মসংস্থান বন্ধ, পুরনোদের চাকরির অনিশ্চয়তা এবং দেশে ফেরা প্রবাসীদের নিয়ে বাংলাদেশ তিনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা জানিনা আমাদের কত লোক কাজ হারাবেন। ইতোমধ্যে তিন মাসের ক্ষতি যদি বলি-তিন মাসে দেড় লাখ লোক কর্মসংস্থান বঞ্চিত, প্রায় দুই লাখ লোক ফেরত এসেছেন এবং বিদেশে থাকা এক কোটি লোকের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৫০ লাখ লোকের এই মুহূর্তে কোন কাজ নেই। এ সঙ্কট কবে কাটবে সেটিও অনিশ্চিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রবাসীদের পাশে কীভাবে থাকা যায় সেটা আমাদের নিশ্চিত করতেই হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি সে পরিকল্পনাগুলো আমাদের এখনই করে রাখা দরকার। দ্রুত কোন ব্যবস্থা না নিলে এই মানুষগুলোর কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা রামরুর চেয়ারম্যান তাসনিম সিদ্দিকি। তিনি বলেন, তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, এসব দেশ অভিবাসী শ্রমিক কমিয়ে সেই খরচ কমানোর চেষ্টা করবে। তার মতে, করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের সময়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। তবে করোনাভাইরাস পরবর্তী পরিস্থিতিতে নির্মাণ শ্রমিক ছাঁটাই করা হলেও পরিচ্ছন্নতা খাতে বিপুল পরিমাণ শ্রমিকের চাহিদা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশী শ্রমিকদের দিয়ে সেই চাহিদা পূরণ করা গেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে বলে তারা জানিয়েছেন। বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে- বড় সংখ্যার প্রবাসীরা ফেরত আসতে পারেন। তাদের কীভাবে আমরা এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব, এ বিষয় আমাদের একটা চিন্তাভাবনা থাকা উচিত। জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, করোনার কারণে প্রবাস থেকে ইতোমধ্যে যে কর্মীরা ফেরত এসেছেন এবং যারা ফেরত আসবেন, তাদের সহায়তার জন্য সরকার সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে একটি ঋণ সুবিধা চালু করা হবে। এটা করা হবে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে। আমরা এখন গাইডলাইন তৈরি করার কাজ করছি। প্রায় ২০০ কোটি টাকার একটি প্যাকেজ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রথম পর্যায়ে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। এই ঋণের সুদ হবে ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে। শুধু তাই নয় ১ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে কোন জামানত লাগবে না বলেও প্রস্তাব রাখছে মন্ত্রণালয়। প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক পুরো বিষয়টি তদারকি করবে। এই ব্যবস্থার স্বচ্ছতার জন্য, ঋণ গ্রহীতাকে অবশ্যই বিদেশ থেকে ফেরত আসার প্রমাণ দিতে হবে। ড. সালেহীন জানান, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের এই ২শ’ কোটি টাকার সঙ্গে শীঘ্রই আরও অর্থ যুক্ত হতে পারে। যেমন সরকার যে লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে, সেখান থেকে হয়তো প্রবাসীদের জন্যও একটা তহবিল পাব। সম্প্রতি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ জানান, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক দেশ অনিয়মিত কর্মীদের ফেরত পাঠাতে চাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীরা দেশে এলে যাতে অসহায় হয়ে না পড়েন, সেজন্য তাদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। ইমরান আহমেদ বলেন, বিদেশফেরত কর্মীদের অধিকতর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতার মান উন্নয়ন করে পুনরায় বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিদেশফেরত কর্মীদের পুনর্বাসনের নিমিত্ত সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছে আর্থিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করা হবে। এছাড়া যারা ছুটিতে দেশে এসেছেন এবং যাদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে। তারা যাতে পুনরায় যেতে পারেন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে। এদিকে বিদেশ ফেরত ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের এবং মৃত কর্মীর পরিবারকে সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত মার্চ থেকে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড। বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৫টি জেলা বাছাই করা হয়েছে। এসব জেলা থেকে বিদেশফেরত ১০০ পুরুষ এবং ১০০ নারী কর্মীকে পুনরেকত্রীকরণের জন্য প্রাথমিকভাবে একটি পাইলট প্রকল্প নেয়া হবে। এই পাইলট প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে যে কয়টি জেলা থেকে অভিবাসনের হার বেশি, সেসব এলাকাকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এজন্য ডাটা সংগ্রহের কাজ করবে কল্যাণ বোর্ড। সংগৃহীত ডাটা হতে জেলাভিত্তিক তালিকা প্রস্তুতির কাজ নেয়া হবে। এ কাজে সহায়তা করবে বিমানবন্দর ও কল্যাণ বোর্ডের আইটি শাখা। পরিকল্পনা অনুযায়ী নারীদের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সঙ্গে প্রশিক্ষণ বিষয়ে চুক্তি করার কথা ভাবছে বোর্ড। পুরুষ কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের আনুমানিক ৪৫ দিনের একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রশিক্ষণ কৃষি, খামার কিংবা সেলাই মেশিন ভিত্তিক হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাতে পুনরেকত্রীকরণের কাজ করা হবে। এছাড়া পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে দেশব্যাপী এই প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হবে বলেও জানা গেছে। এছাড়া একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মনিটরিং টিমের মাধ্যমে পরামর্শ দেয়ার ব্যবস্থাও থাকছে প্রকল্পটির অধীনে। এ বিষয়ে কল্যাণ বোর্ডের উপপরিচালক (কল্যাণ) শরিফুল ইসলাম বলেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে আমরা কাজটি করতে চাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বিদেশফেরত কর্মীদের উপযোগিতা হিসেবে প্রকল্পটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে আমরা কাজটি করতে চাই। বিদেশফেরত কর্মীদের পুনরেকত্রীকরণের দীর্ঘদিনের দাবি অভিবাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, করোনার প্রভাবে গত ১৫ মাসের মধ্যে এখন সর্বনি¤œ পর্যায়ে নেমে এসেছে রেমিটেন্স প্রবাহ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে গত এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১০৮ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছে যা চলতি অর্থবছরই শুধু নয় বিগত ১৫ মাসের মধ্যেও সর্বনিম্ন। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর প্রভাবে প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর পরিমাণ আরও কমতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসে বসবাস করেন বাংলাদেশী প্রবাসী মোহাম্মদ সুলায়মান আলী। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, করোনার কারণে নিউইয়র্কে বসবাসরত বেশির ভাগ মানুষ এখন লকডাউনে গৃহবন্দী। বিশ্বের ব্যয়ববহুল এই শহরে বেশিরভাগ বাঙালীর এখন কাজ নেই, বেকার। নিজেদের জীবন বাঁচবে কি না তা নিয়ে তারা শঙ্কিত। এ অবস্থায় দেশে টাকা পাঠানো তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, সরকারের উচিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের খোঁজখবর নেয়া। কারণ এসব প্রবাসীরাই দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা। এদিকে, বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে বাংলাদেশের রেমিটেন্স কমবে ২২ শতাংশ। এ ছাড়া বিশ্বে রেমিটেন্স কমবে ২০ শতাংশ। এর আগে গত বছরে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসে। যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি। কিন্তু বিশ্বব্যাংক বলছে, এ বছর বাংলাদেশে রেমিটেন্স কমে ১৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে ২০২০ সালে রেমিটেন্স কমবে।
×