ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার কারণে বিপাকে রায়গঞ্জের পোল্ট্রি খামারিরা

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১২ মে ২০২০

করোনার কারণে বিপাকে রায়গঞ্জের পোল্ট্রি খামারিরা

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণ সঙ্কটে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পোল্ট্রি খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মুরগির খাদ্য, ওষুধ ও পরিবহন ব্যয়। বিপরীতে খামারের উৎপাদিত ডিম ও মাংসের দাম কমেছে। অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে না এসব পোল্ট্রি মুরগি। এতে করে পুজি হারিয়ে পথে বসতে শুরু করেছে পোল্ট্রি খামারিরা। এক সময় এই শিল্পটি অত্যন্ত লাভজনক হলেও বর্তমানে পোল্ট্রি মুরগির খাবারের অতিরিক্ত কর আরোপ ও ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করায় লাভের পরিমাণটা কমে গেছে। তবুও বেকারত্বকে জয় করার লক্ষে এই শিল্পটিকে লাভের আশায় ধরে রেখেছে। এই অঞ্চলের উৎপাদিত পোল্ট্রি মুরগিগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হতো। কিন্তু যানবহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ থাকার কারণে এই মুরগিগুলো বাজারজাত করা যাচ্ছে না। যে মুরগিগুলো আগে ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো তা বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে ৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ নিয়ে রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী গ্রামের মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমি বেকারত্ব দূর করার লক্ষে বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কিছু ঋণ নিয়ে একটি খামার করেছি। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে আমি মুরগিগুলো সময় মতো বিক্রি করতে পারছি না। ফলে উৎপাদিত ডিম ও মাংস ন্যয্য মূল্যে বিক্রি করতে না পেরে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আমার মতো অনেকেরও পথে বসতে হবে। চলমান এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পোল্ট্রি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ ও প্রণোদনা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা।
×