ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার প্রতিষেধক!

প্রকাশিত: ২৩:২০, ১০ মে ২০২০

করোনার প্রতিষেধক!

সারা বিশ্ব আজ মরণঘাতী করোনার ছোবলে সংক্রমিত এবং আক্রান্তের সংখ্যাও ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে অবস্থায় এর প্রতিষেধক কিংবা নিরাময়ের বিষয়গুলো মাথায় রেখে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, চীন ও যুক্তরাজ্য তাদের গবেষণা কার্যক্রম নিরন্তর রেখেছে। কিছু প্রতিষেধকমূলক ওষুধ প্রথমে প্রাণীদেহে প্রয়োগ করে গবেষকরা মানবদেহেও এর কার্যকারিতার ব্যাপারে নতুন আশার আলো সঞ্চার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, চীন-ব্রিটেনে পরীক্ষামূলক এই ওষুধটি ইতোমধ্যে মানুষের শরীরেও প্রয়োগ করা হয়। গবেষণার কার্যকারিতা ফলপ্রসূ হলে আশা করা যচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসেই এই রোগটির বিস্তার প্রতিরোধের প্রতিষেধকটি এসে যেতে পারে। তেমন সম্ভাবনাই দেখছেন সংশ্লিষ্ট গবেষক এবং পরীক্ষকরা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষকদের সর্বশেষ পর্যায় এখন চলছে। তা সঠিকভাবে মানবদেহে কার্যকরী হলে সারা বিশ্ব এমন মরণব্যাধির ছোবল থেকে রেহাই পেতে পারে। কিন্তু যারা এই মুহূর্তে আক্রান্ত, যাদের সংখ্যা ৪০ লাখও ছাড়িয়ে যাবে তাদের নিরাময়ের ব্যাপারটিও উপেক্ষণীয় নয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থ করে তোলাও করোনার সঙ্গে এক সম্মুখ সমর। তেমন নির্দেশনাও আসছে অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের কাছ থেকে। করোনাকে নিষ্ক্রিয় করার ব্যাপারেও এক ধরনের গবেষণামূলক ওষুধের বিষয়ে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মানবদেহে করোনা সংক্রমণকে কার্যকরী ওষুধে নিষ্ক্রিয় হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গবেষকদের দাবি, সংক্রমিত দেহে ইমিউন ব্যবস্থা জোরদার করতে এই ওষুধটি করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে যাবার সম্ভাবনা তারা প্রত্যক্ষ করছেন। ফলে ক্রমান্বয়ে এই রোগটির সংক্রমণ মনুষ্যদেহ থেকে বিলীন হতে সময় নেবে না। করোনাভাইরাসে নাকাল হয়ে যাওয়া ইতালিও দাবি করছে নতুন ভ্যাকসিন তৈরির সম্ভাবনাটি। ইতালির গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন তাদের তৈরি প্রতিষেধক টিকা ইঁদুরের শরীর করোনার এ্যান্টিবডি তৈরি করার পর তা মানব কোষেও করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশসহ শতাধিক দেশ এই প্রাণঘাতী করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। পরীক্ষামূলক ১০৮টি ভ্যাকসিনের মধ্যে ৮টিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দেয়। চলতি মাস থেকেই এই রোগ নিরাময়ের আপাত কার্যকর প্রতিষেধক ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদন শুরু করেছে দেশীয় খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসছে আপাত কার্যকর এই ওষুধটি তৈরিতে, যা একটি অত্যন্ত আশার আলো বৈকি।
×