ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘এক্সট্র্যাকশন’ বিতর্কের ভিড়ে আকাশচুম্বী সাফল্য

প্রকাশিত: ০১:০৫, ৭ মে ২০২০

‘এক্সট্র্যাকশন’ বিতর্কের ভিড়ে আকাশচুম্বী সাফল্য

অনলাইন সিনেমা স্ট্রিমিং ওয়েবসাইট নেটফ্লিক্স মুম্বাই এবং ঢাকার পটভূমিতে এক্সট্র্যাকশন সিনেমার মুক্তি দিয়েছে। ভারত এবং বাংলাদেশের দুই মাদক সম্রাটের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই সিনেমার গল্প। ঘটনার সূত্রপাত ‘মহাজন’ নামে পরিচিত ভারতের কুখ্যাত মাদক সম্রাটের ছেলেকে মোটা টাকার জন্য অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে আসে বাংলাদেশের ড্রাগলর্ড আমির আসিফ। ছেলেকে উদ্ধার করতে মহাজন তার প্রতিনিধি সাজুকে দিয়ে একজন মার্সেনেরি ভাড়া করে। টাইলার রেক নামের এই মার্সেনেরির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস হেমসওর্থ। ঢাকায় মহাজনের ছেলে অভিকে উদ্ধার করতে এসে তুলকালাম বাধিয়ে দেন টাইলার। নেটফ্লিক্স এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে মুক্তির প্রথম ৪ সপ্তাহে রেকর্ড ৯০ মিলিয়ন দর্শক দেখেছে সিনেমাটি। এর মধ্যে দিয়ে ‘এক্সট্র্যাকশন’ নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে সবচেয়ে সর্বকালের বৃহত্তম সিনেমার প্রিমিয়ার হয়ে ওঠার পথে আছে। ৭৩ মিলিয়ন এবং ৬৩ মিলিয়ন নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে আছে মার্ডার মিস্ট্রি ও ট্রিপল ফ্রন্টিয়ার। তবে ছবিটি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বাংলাদেশে নেটফ্লিক্স ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ লাখ হলেও প্রচুর টরেন্ট ওয়েবসাইটের বদৌলতে সিনেমাটি পৌঁছে গেছে সকল সিনেমাবোদ্ধার কাছে। আর এর ফলে বিতর্ক হয়েছে আরও জোরদার। অন্তহীন এই বিতর্কের মধ্যে নেটফ্লিক্স তার কাক্সিক্ষত সাফল্য ঘরে তোলেন। ‘এক্সট্র্যাকশন’ ছবিটি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অনেক দর্শক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এরই মধ্যে তারা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রথম ক্ষোভের কারণ তাদের মতে এই ছবিতে বাংলাদেশকে অবমাননা করা হয়েছে। গোটা সমাজকেই প্রবল অপরাধপ্রবণ করে দেখানো হয়েছে। শিশুদের হাতে একে-৪৭ এর মতো অটোমেটিক রাইফেল হাতে সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়তে দেখানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে একজন ড্রাগলর্ডের সঙ্গী হতে দেখা গেছে যেটা অনেক দর্শক ভাল চোখে নেয়নি। এছাড়াও ভাড়াটে যোদ্ধার হাতে দেশের পতাকাধারীদের নাজেহাল হবার দৃশ্যও হজম করতে পারেনি অনেকে। আইএমডিবিতে ১ স্টার দিয়ে আসার পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে। তবে সবাই যে এমন ভাবছেন তাও না। অনেকের মতে দিনশেষে এটা একটা সিনেমা। ফাস্ট এ্যান্ড ফিউরিয়াসের ৫ম সিনেমার পুরো ব্রাজিল পুলিশকে দুর্নীতিবাজ এবং কুকমের সঙ্গী হিসেবে দেখানো হয়। তারা কিন্তু সেটাকে সিনেমার মতই গ্রহণ করেছে। হলিউডের এ্যাকশন এবং মার্সেনারিনির্ভর প্রায় প্রত্যেক সিনেমাতেই আমেরিকানরা নিজের দেশের সেনা বা পুলিশদের মার খেতে দেখে। তারা কখন এটাকে গুরুতরভাবে দেখে না। সিনেমাকে সিনেমা হিসেবেই গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন তারা।
×