ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ২২:২৪, ৫ মে ২০২০

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দশ হাজার ছাড়িয়েছে শনাক্তকৃত করোনা রোগীর সংখ্যা। দেশে নতুন করে পাঁচজন করোনা রোগীর মৃত্যু এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৬৬৮ জন করোনা রোগী। এটি এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২৬০টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ফল পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১৮২ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ১৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সারাদেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২০৯ জন। এখন পর্যন্ত ঢাকা শহর এবং ঢাকা বিভাগেই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ। সোমবার দুপুরে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫ জনের সবাই পুরুষ। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৩ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন। ৫ জনের মধ্যে ৩ জন ঢাকার, একজন সিলেটের এবং একজন ময়মনসিংহের। বর্তমানে মজুদ রয়েছে প্রায় চার লাখ পিপিই। নমুনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সংখ্যা বেড়ে ৩৩টিতে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ১৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ১১ জন, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল থেকে ৭ জন, রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতাল থেকে ১৩ জন, লালকুঠি হাসপাতাল থেকে ৪ জন, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৪ জন; ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন। নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ ছিল ৬ হাজার ৩১৫টি, আর পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ হাজার ২৬০টি। এই নমুনা সংগ্রহ আগের দিনের চেয়ে ২১ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি এবং নমুনা পরীক্ষা গতকালের চেয়ে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৮৭ হাজার ৬৯৪টি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৯০ জনকে, এখন পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৬৩৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯১ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১৭৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ২ হাজার ৭৪২ জনকে। এখন পর্যন্ত এক লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৪ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৪৮ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৪০১ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪১ হাজার ৯৩৩ জন। প্রায় চার লাখ পিপিই মজুদ রয়েছে ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬২টি পিপিই এবং বিতরণ করা হয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৯৩টি। বর্তমানে মজুদ রয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯টি পিপিই। করোনা সংক্রান্ত কলের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য বাতায়নের নম্বরে ৫০ হাজার ২৫৪টি, ৩৩৩ নম্বরে ১৬ হাজার ৬১০টি এবং আইইডিসিআর’র নম্বরে ২৯৬০টি করোনা সংক্রান্ত কল এসেছে। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কল এসেছে ৬৯ হাজার ৮২৪টি। এ পর্যন্ত হটলাইনগুলোতে করোনা সংক্রান্ত মোট কল এসেছে ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩৬টি। নতুন একটিসহ ৬৩ জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত- মিডিয়া সেল ॥ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেল জানায়, দেশের ৬৩টি জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত ঢাকা সিটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৮০ জন, যা দেশের মোট আক্রান্তের ৫৭.৩৬ শতাংশ এবং সিটি বাইরে ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২৬৩ জন, যা মোট আক্রান্তের ২৫.৯৫ শতাংশ। এভাবে ৪ মে পর্যন্ত ঢাকা বিভাগের ১২টি জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬৯৪৩ জন, যা মোট আক্রান্তের ৮৩.৮৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত ঢাকা সিটিতে ৯৮ জন এবং ঢাকা বিভাগে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ ঢাকা বিভাগেই করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৩ জনে।
×