ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন জাফরুল্লাহ

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ৪ মে ২০২০

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন জাফরুল্লাহ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার সুযোগ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানালেন ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই এই সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ বলছেন, অনেক দেশ তাদের কাছে এই কিট পরীক্ষার জন্য নিতে চাইলেও দিচ্ছেন না। তিনি চান বাংলাদেশেই সবার আগে এই পরীক্ষাটা হোক। তবে এরই মধ্যে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রতিনিধির হাতে এই কিট তুলে দিয়েছেন জাফরুল্লাহ ও তার সহকর্মীরা। খবর বিডিনিউজের। গত ২৫ এপ্রিলের ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ডাকা হলেও তারা যাননি। এ নিয়ে জাফরুল্লাহ উচ্চকণ্ঠ হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে আগে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার কথা বলা হয়। পরে গত ৩০ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) বা আইসিডিডিআর’বিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওই টেস্টিং কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার কথা বলা হয়। রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘কোভিড-১৯ : বৈশ্বিক মহামারী এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ বিষয়ে কথা বলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের আহামরি কিছু না, আমরা মহাআবিষ্কার কিছু করি নাই। আমরা জানা কথাটাকে বলেছি সেটাকে কাগজে কলম ধরে। বাংলাদেশের পাঁচজন বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল,, ফিরোজ আহমেদ, নিহাদ আদনান, মোহাম্মদ রাইদ জমিরুদ্দিন, মুহিবউল্লাহ খোন্দকার- এরা সব বাংলাদেশী। এরা এমন একটা জিনিস আবিষ্কার করেছেন তার জন্য কাউকে ঢাকায় আসার দরকার নেই। ইউনিয়নে যে পাঁচ হাজার সেন্টার আছে ওখানে বসে পরীক্ষা করা যাবে, ডাক্তারের চেম্বারে পরীক্ষা করা যাবে। তিনি বলেন, ‘ওই যে আমলাতন্ত্র ওটাকে না কমাতে পারলে। আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ধন্যবাদ দেই। যেই কারণে আপনার হস্তক্ষেপের জন্যই শেষ পর্যন্ত উদ্ভাবিত কিটটা পরীক্ষার দরজা পর্যন্ত যেতে পেরেছে।’ ডাঃ জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এখন আমরা বিএসএমএমইউর ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে আবেদন করছি যে, আপনারা দ্রুত পরীক্ষা করেন, নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষা করেন। ভাল হলে বলেন, খারাপ হলেও বলেন। আমাদের কোন আপত্তি নাই। আমরা জানি, আমরা পরীক্ষায় পাস করব। কারণ এটার গবেষণা আমরা ভালভাবে করেছি। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আজকে বলছে, আমাদেরকে দাও, আমরা পরীক্ষা করে দেখি তোমার এটাকে (কিট)। কিন্তু আমার কাছে আমার দেশ পরীক্ষা করার আগে বাইরে করতে আমার আত্মসম্মানে লাগে। যে দেশের জন্য আমি যুদ্ধ করেছি, যে ক্তযুদ্ধের ফসল এই দেশ সেখানে তার নিজের আত্মাসম্মানবোধ আছে। সেই কারণেই আমার চাওয়া অন্য কারও বিষয়ে রাজি না হওয়ার আগে বাংলাদেশ দেখুক।’ পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এখনও নমুনা বিএসএমএমইউতে পাঠায়নি। তারা আগামীকাল আমাকে ডাকবে। তারা নিজেরা কালকে মিটিং করে জানাবে কবে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যেতে হবে।’
×