ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গার্মেন্টসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয় স্মরণ করিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ৪ মে ২০২০

গার্মেন্টসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয় স্মরণ করিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গার্মেন্টস কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি পোশাক শিল্প মালিকদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের স্বাস্থ্যবিধি মনিটর করতে আলাদা কমিটি করা হবে। প্রতিটি কারখানায় একটি করে মেডিক্যাল টিম থাকবে। টিমের সদস্যরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পালন করবেন। একই সঙ্গে কর্মীদের তালিকা তৈরি করে নিজ নিজ জেলায় রাখা এবং কোন কর্মী ফেরত গেলে তাকেসহ বাড়ি লকডাউনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রবিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘করোনা পরিস্থিতিতে শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালু রাখা সংক্রান্ত’ বিষয়ে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, শিল্পসচিব, শ্রমসচিব, বাণিজ্যসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), এফবিসিসিআই সভাপতি, বিজিএমইএ সভাপতি, ডিসিসিআই সভাপতি, বিকেএমইএ সভাপতি, বিটিএমইএ সভাপতি, এমসিসিআই সভাপতি এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, কারখানা চালানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা যেন আমাদের শ্রমিকরা পান। তারা যেখানে কাজ করবেন, সেখানে যেন মিনিমাম দূরত্ব থাকে, তাদের পরিবহন যেন সঠিক হয়, তাদের থাকা-খাওয়ার বিষয়টিতেও যেন গুরুত্ব দেয়া হয়। তাদের কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন হলে সেটি যেন করা হয়। আমাদের তিনটি হটস্পট নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুরের এলাকাগুলোর বিষয়ে বিশেষভাবে দেখতে পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। এসব জেলা থেকে যেন কেউ বাইরে না যান এবং বাইরের কেউ যেন না ঢোকেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস মালিকরা যেন সব সুবিধা তৈরি করে দেন। টেস্টের প্রয়োজন হলে শ্রমিকরা যেন করতে পারেন, সে বিষয়টি তারা দেখবেন এবং আমরাও সেই এলাকায় টেস্টের ব্যবস্থা করব। গার্মেন্টস শিল্পের স্বাস্থ্যবিধি মনিটর করতে আলাদা কমিটি করা হবে। প্রতিটি ফ্যাক্টরিতে একটি করে মেডিক্যাল টিম আমাদের নির্দেশনা পালনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। তারা ন্যাশনাল কমিটির কাছে নিয়মিত রিপোর্ট করবেন। কোন ফ্যাক্টরিতে বেশি আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে সেটি কিছুদিনের জন্য শাটডাউন করা হবে। একই সঙ্গে পরিবহনের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে গার্মেন্টস মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাহিদ মালেক বলেন, চলাকালে একবার যেসব শ্রমিক ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের ভেতরে চলে আসছেন, তাদের সেখানেই থাকতে হবে। এসব জেলায় যে পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ না কমবে বা নির্ধারিত লকডাউনের মেয়াদ শেষ না হবে সে পর্যন্ত তাদের অবশ্যই ওই এলাকায় থাকতে হবে। আমরা তাদের বের হতে নিষেধ করব। স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর- এই তিনটি জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে। কিভাবে এসব জেলার মানুষকে আলাদা করে রাখতে পারি এবং কিভাবে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে বেশি সংক্রমিত হলে তাদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার করা, হাসপাতাল নির্ধারণ এবং প্রয়োজনে টেস্ট কিভাবে বেশি করা যায় সেটি নিশ্চিতের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
×