ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দরিদ্র ও কর্মহীনদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ডাটাবেজ হয়নি

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ৪ মে ২০২০

দরিদ্র ও কর্মহীনদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ডাটাবেজ হয়নি

ফিরোজ মান্না ॥ করোনা পরিস্থিতিতে দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতণের ডাটাবেজ এখনও তৈরি করতে পারেনি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। সারাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে তিন কোটি মানুষকে ত্রাণ দেয়ার তালিকা ধরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এই ডাটাবেজ তৈরি করার কথা। ডাটাবেজের মাধ্যমে তালিকা থাকলে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সহজ হবে। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তি বিভাগ কাজটি করার কথা। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ বলছে, তাদের কাছে এখনও দেশের সব অঞ্চলের তালিকা আসেনি। ফলে তাদের এই কার্যক্রম শেষ করতে আরও সময় লেগে যেতে পারে। তবে ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। ডাটাবেজ হলে সুবিধাভোগী প্রতিজন কিউআর নম্বর যুক্ত কার্ড পাবেন। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উত্তরণে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত সহায়তা সমন্বিত করে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষমতা অর্জনই এখন বড় কথা। সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক মাস ৯ দিন পার হয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে সরকার দেশের দরিদ্র ও কর্মহীন অনন্ত ৩ কোটি মানুষের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে। যারা ত্রাণ পেয়েছেন তাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও মোবাইল নম্বর দিতে হয়েছে তালিকায়। এতে ডাটাবেজ তৈরি করার কাজ বহুগুণে এগিয়ে গেছে। নতুন করে দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের তালিকা নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্ত সমন্বয়ের অভাবে ডাটাবেজের কাজটি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ত্রাণের তালিকা পুরোপুরি পেলেই পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি করা সম্ভব হবে। এই ডাটাবেজ তৈরি করতে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হবে। এখন সফটওয়্যারটির কাজ চলছে। ত্রাণ বিতরণ সহজ করার জন্যই যে এই ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে তা কিন্তু না। এই ডাটাবেজটি সব সময় কাজে লাগবে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে আরও কতদিন ত্রাণ সহযোগিতা দিতে হবে তা ঠিক নেই। বর্তমানে দেশের ২২ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও ৩০ শতাংশ কর্মহীন মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই জনগোষ্ঠীর ডাটাবেজ তৈরি করে কিউআর কোড ব্যবহার করা হলে ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সফল হবে। এই কার্যক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত নীতিমালা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ উত্তর পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ অত্যাবশ্যকীয় বিষয়গুলোর চাহিদা নিরূপণ ও করণীয় কার্যক্রমের সমন্বয়ে একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। করেনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ত্রাণসামগ্রী সমন্বয় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে একটি ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে। যাতে দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের কাছে সহজে ত্রাণ সহযোগিতা দ্রুত পৌঁছে দিতে পারে সরকার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সরকারের হাতে রয়েছে।
×