ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

লারার জন্মদিনে মুশফিকের শুভেচ্ছা

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ৩ মে ২০২০

লারার জন্মদিনে মুশফিকের শুভেচ্ছা

বাসার সবাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ভক্ত। বাসার ছোট ছেলেটিরও অভ্যাস হয়ে গেল রাত জেগে খেলা দেখার। বিশেষ করে, একজন ব্যাটিংয়ে নামলে যেন চোখের পলক পড়ত না ছেলেটির। বগুড়ায় নানির বাসায় বসে হাজার মাইল দূরে ক্যারিবিয়ান রাজপূত্রের ব্যাটিং টিভিতে দেখে প্রাইমারী পড়ুয়া ছেলেটি ছুটাছুটি করত নিজের স্বপ্নের ২২ গজে! এভাবেই ব্রায়ান লারাকে দেখে ক্রিকেট স্বপ্নের পেছনে ছুটতে শুরু করেছিলেন বগুড়ার ছোট্ট মিতু, সময়ের পরিক্রমায় এখন যিনি মুশফিকুর রহিম নামে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটে যারা এখনকার তারকা, বেড়ে ওঠার দিনগুলোয় তাদের জীবনেও ছিল অনেক তারকা। সূত্রÑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। মুশফিকের কাছে নায়ক মানেই লারা! বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশে উজ্জ্বল এক তারকা মুশফিক। কিন্তু তার নিজের কাছে এখনও সবচেয়ে বড় তারকা লারা। পাঁড় ভক্ত বলতে যা বোঝায়, মুশফিক ছিলেন তেমনই। এমনকি তার ছেলেবেলায় লারার জন্মদিনও পালন করেছেন তারা! জীবনের ইনিংসে লারার ৫১ বছর পূর্ণ হলো শনিবার। প্রিয় তারকার জন্মদিনে মুশফিক শোনালেন ক্যারিবিয়ার কিংবদন্তির প্রতি অনুরাগের গল্প। আমার কাছে ছেলেবেলা থেকেই তারকা মানে লারা। ভালভাবে কিছু বুঝে ওঠার আগে থেকেই শুরু হয়েছে ভাল লাগা। বুঝতে শেখার পর থেকে তার প্রতি ভালবাসা কেবল বেড়েছেই। শুরুটা ছিল বাসার সবাইকে দেখে। আমার বড় ভাই, মেজো আপু, সবাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমর্থক ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলা শুরু হতো বাংলাদেশ সময় রাত ৭টা-৮টায়। রাত জেগে খেলা দেখা হতো আমাদের বাসায়। আমিও ছোটবেলা থেকে দেখতাম, যতক্ষণ জেগে থাকতে পারতাম। অনেক সময়ই আমাদের বাসায় আমাকে বলত ঘুমিয়ে পড়তে, না হলে সকালে স্কুল কামাই করতে পারি। আমার ইচ্ছে করত না ঘুমাতে। এজন্য নানির বাসায় চলে যেতাম। আমাদের বাসা থেকে স্কুলের পথেই ছিল নানির বাসা। এমন অনেক হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা থাকলে ব্যাগ-ট্যাগ নিয়ে নানির বাসায় চলে যেতাম। ওখানে কেউ আমাকে বাধা দিত না। অনেক রাত পর্যন্ত খেলা দেখে পরদিন স্কুলে যেতাম। ‘খেলা দেখা বলতে, অপেক্ষা করতাম লারার ব্যাটিংয়ের জন্য। বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচে। আমার তখন থেকেই টেস্ট ভাল লাগত। লারা অনেক সময় ব্যাট করবেন, হয়তো এ কারণেই!’
×