ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাদ্রিদ ওপেনের পুরুষ এককে শিরোপা জিতলেন এ্যান্ডি মারে

ভার্চুয়ালি চ্যাম্পিয়ন কিকি বার্টেন্স

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ৩ মে ২০২০

ভার্চুয়ালি চ্যাম্পিয়ন কিকি বার্টেন্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের কারণে অন্য সব খেলার মতো টেনিসও বন্ধ। তবে ব্যতিক্রম এক উদ্যোগ নিয়েছিল মাদ্রিদ ওপেনের কর্তৃপক্ষ। লকডাউনের এই সময়টাতে সব খেলোয়াড়রাই যখন ঘরবন্ধী জীবন কাটাচ্ছিল। তখন ভার্চুয়ালি মাদ্রিদ ওপেন আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ভিডিও গেমসের মাধ্যমে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। আর ভার্চুয়াল মাদ্রিদ ওপেনেও দাপট দেখালেন কিকি বার্টেন্স। ঘরে বসে ভিডিও গেমসে দুর্দান্ত পারফর্ম করে শিরোপা নিজের শোকেসে তুলে নিলেন হল্যান্ডের এই তারকা খেলোয়াড়। ফাইনালে কিকি বার্টেন্স ৬-১ ব্যবধানে পরাজিত করেন ফিওনা ফেরোকে। গত মৌসুমে ইতিহাস গড়ে মাদ্রিদ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন হল্যান্ডের এই এক নাম্বার টেনিস খেলোয়াড়। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে সেবার তিনি ৬-৪ এবং ৬-৪ ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপকে। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোন সেট না হেরেই মাদ্রিদ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন তিনি। গ্যালারিতে থাকা হাজার হাজার টেনিস ভক্ত-অনুরাগীদের সমর্থনও পেয়েছিলেন কিকি বার্টেন্স। একজন খেলোয়াড়ের জন্য যা, অন্যরকম আনন্দের। এবারের প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। সর্মথক নেই। তেমন উত্তেজনাও নেই ছিল না। তারপরও ডাচ তারকার কাছে এটা স্পেশাল। ভার্চুয়ালি প্রথম টুর্নামেন্ট হওয়ার কারণে কিকি বার্টেন্সের উচ্ছ্বাসটাও যেন একটু বেশি। এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কিকি বার্টেন্স বলেন, ‘যখন আমি প্রথম এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য বার্তা পাই তখনই আমি বলেছিলাম অবশ্যই খেলব। এরপর মনে হলো প্লেস্ট্যাশনে আমার অনুশীলন করার প্রয়োজন। কেননা, আমি যা একবার সঠিকভাবে করতে পারি পরে সেটা সবসময়ই ভাল করি। এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটাও দুর্দান্ত। ভার্চুয়ালি এটাই আমার প্রথম টুর্নামেন্ট। আর প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন। এটা সবসময়ই দারুণ ব্যাপার।’ বিশ্ব টেনিসের ১৬ জন শীর্ষ মানের তারকাকে নিয়েই আয়োজন করা হয় এই টুর্নামেন্ট। যে কারণে জয়টা সহজ ছিল না বার্টেন্সের জন্য। রাউন্ড রবিনে কিকি বার্টেন্স হারিয়েছেন সাবেক নাম্বার ওয়ান এ্যাঞ্জেলিক কারবার, ডোনা ভেকিচ এবং ইউজেনি বাউচার্ডকে। যার ফল ৩-০। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি ৬-৪ ব্যবধানে পরাজিত করেন সুইজারল্যাল্ডের বেলিন্ডা বেনচিচকে। সেমিফাইনালেও আরেক সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। শেষ চারে ডাচ তারকা ৭-৫ ব্যবধানে পরাজিত করেন কিছুদিন আগেই টেনিসকে বিদায় বলে দেয়া ডেনমার্কের ক্যারোলিন ওজনিয়াকিকে। কিকি বার্টেন্স মনে করেন এই সময়টা দারুণ উপভোগ্য ছিল। তাছাড়া এতসব টেনিস খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণও ব্যাপারটাকে উপভোগ্য করে তুলেছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা অনলাইনে যারা দেখেছেন তাদের প্রত্যেকেই মজা পেয়েছেন। আমি মনে করি এতসব খেলোয়াড়দের নিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করাটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার ছিল। সমর্থকদের জন্য আমরা কিছু করতে পেরেছি এটা সত্যিই দারুণ ব্যাপার।’ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই গোটা দুনিয়ার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটাচ্ছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখনও লকডাউনে। তাই এই সময়টা সবার জন্যই কঠিন। বার্টেন্স বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্যই এই সময়টা খুব কঠিন। আমরা টেনিস খেলতে পারছি না। সমর্থকরাও আমাদের দেখতে পারছে না। তাই সমর্থকদের জন্য এটা ভিন্নভাবে উপভোগ্য একটা সপ্তাহ ছিল।
×