ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈশ্বরের হাতই পারে করোনা দূর করতে ॥ ম্যারাডোনা

প্রকাশিত: ০০:০৫, ১ মে ২০২০

ঈশ্বরের হাতই পারে করোনা দূর করতে ॥ ম্যারাডোনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সর্বকালের সেরা দুই ফুটবলারের একজন দিয়াগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ১৯৮৬ বিশ্বকাপে যা করেছেন সেটা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। একপ্রকার একাই দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। সেই পথে ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ বিখ্যাত হয়ে আছে। ওই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লাফিয়ে উঠে হেডে গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা। অফিসিয়াল স্কোরকার্ডে লেখা আছে হেড দিয়েই গোল করেছিলেন ফুটবল জাদুকর। কিন্তু সত্যটা হলো, বল এতটাই উঁচুতে ছিল যে মাথা দিয়ে তা ছোঁয়ার সাধ্য ছিল না। তাই লাফিয়ে ওঠার পর হাত দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। ইংলিশ গোলরক্ষক সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছিলেন বিষয়টি। কিন্তু ধরতে পারেননি রেফারি। অনেকের মতে এটা ইতিহাসের নিকৃষ্টতম চুরি। কিন্তু ম্যারাডোনা বলেছিলেন, এটা তার হাত নয়, বরং স্বয়ং ঈশ্বরের হাত ছিল। তার এ কথার পর থেকে হাত দিয়ে করা গোলটি ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে বিখ্যাত হয়ে গেছে। সেই ঘটনার ৩৪ বছর পর ম্যারাডোনা আশা করছেন, দ্বিতীয় ‘হ্যান্ড অব গড’ এসে দূর করে দেবে করোনাভাইরাস। বর্তমানে এই ভাইরাসে কাবু হয়ে গেছে পৃথিবী। কিন্তু আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর বিশ্বাস করেন, হয়ত আরেকবার হ্যান্ড অব গড (ঈশ্বরের হাত) সব অন্ধকার দূর করে দেবে। সাক্ষাতকারে ম্যারাডোনা বলেন, এখন সেই হ্যান্ড অব গড যদি করোনা দূর করে দিত। তাহলে মানুষ সুস্থ ও সুন্দরভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। আমাদের সবাইকে এক হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। কেউ আমাদের শত্রু নয়, কেউ শক্তিশালী নয়। এমনকি শক্তিশালী হলেও এই ভাইরাস আক্রমণ করে বসতে পারে। আশা করি সবার জন্য ভাল কিছুই হবে। খ্যাতির শিখরে আরোহণ করলেও ক্যারিয়ারজুড়ে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি কখনও ম্যারাডোনার। মাদক নেয়ার অপরাধে নিষিদ্ধ হওয়া কিংবা অন্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছেন সবসময়। বাজে আচরণের কারণে ১৯৯০ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই লালকার্ড দেখতে পারতেন। কিন্তু সেটা থেকে রক্ষা পান ম্যারাডোনা। ৩০ বছর আগে রোমের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের পেনাল্টি গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় আর্জেন্টিনার। ম্যাচে লালকার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন আর্জেন্টিনার দুইজন। ম্যাচ শুরুর আগে ওই তালিকায় নাম উঠতে পারত ম্যারাডোনারও। ওই ফাইনাল নিয়ে বলতে গিয়ে রেফারি কোদেসাল বলেন, জাতীয় সঙ্গীত চলার সময়ে ম্যারাডোনা খুব বাজে কথা বলছিল। খেলা শুরু হওয়ার আগেই তাকে লালকার্ড দেখাতে পারতাম। পরে আমি যখন (পেড্রো) মঞ্জনকে (আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার) লালকার্ড দেখাই, তখন ম্যারাডোনা আমার কাছে এসে বলতে থাকে, আমি নাকি চোর। তিনি বলেন, বল নিয়ে মাঠে ম্যারাডোনাকে অসাধারণ সব কাজ করতে দেখেছি আমি। মারাত্মক ট্যাকলে তার হাঁটু ফুলে যেতে দেখেছি। খেলোয়াড় হিসেবে সে ছিল সেরা। তবে মানুষ হিসেবে অপ্রিয় এবং আমার দেখা অন্যতম জঘন্য একজন।
×