ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় শানুর আবৃত্তি-পুতুলের গান

প্রকাশিত: ২৩:৩৫, ৩০ এপ্রিল ২০২০

করোনায় শানুর আবৃত্তি-পুতুলের গান

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ দেশব্যাপী করোনাভাইরাস থেকে দেশবাসীকে নিরাপদে রাখার জন্য চলছে লকডাউন। শিল্পীরাও সরকারী নিয়ম মেনে লকডাউনে নিজেদের বাসাতেই বন্দী রেখেছেন নিজেদের। কিন্তু দীর্ঘদিনের লকডাউনে কী করবেন তারাকারা। বলা যায় প্রায় একইরকম রুটিনের মধ্য দিয়ে সময় কাটছে সবার। কেউ কেউ চেষ্টা করছেন ঘরে বসেই ভিন্ন কিছু করার। কিন্তু ঘরে বসে নিজেদের জীবনের কতোই বা বৈচিত্র্যময়তা আনা যায়। অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু ও সঙ্গীতশিল্পী পুতুলের সাধারণত দেখা হয় একুশে গ্রন্থমেলায় খুব বেশি। কারণ দু’জনেরই বই প্রকাশ হয় একুশে গ্রন্থমেলায়। এবারের একুশে গ্রন্থমেলাতেও তাদের দেখা হয়েছে কয়েকবার। বইমেলা শেষে ঠিক যখনই তারা নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে ওঠার জন্য প্রস্তুত হলেন তখনই অর্থাৎ গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকল। পরবর্তীতে একসময় লকডাউনের ঘোষণা আসে। অন্যান্য সবার মতো গৃহবন্দী হতে হয় শানু ও পুতুলকেও। গৃহবন্দী থাকলেও শিল্প চর্চার মধ্য দিয়েই সময় কাটছে শানু ও পুতুলের। গত ২৮ এপ্রিল শানু তার নিজের লেখা ‘অধরা আমি’ কবিতাটি আবৃত্তি করে সবার জন্য শেয়ার করেন। শানু বলেন, জানি একদিন আলো আসবেই তবু এক অস্থির সময়ে ঘুরপাক খাচ্ছে জীবন, পৃথিবী লকডাউনে। আমিও বারবার কবিতায় মুখ লুকাই, একটু নিশ্বাসের জন্য। কবিতার ভূত মাথায় চাপলে, দারুণ বাঁচিয়ে রাখে। সেই কবিতা নিয়ে নতুন কিছু করার জন্য অনবরত অনুপ্রেরনার তাগাদা দিতে থাকল একটা মানুষ, আমারও মাথায় নতুন আইডিয়ার ভূত চাপল এই বন্দী সময়ে। নাচের ছন্দের সঙ্গে নিজের কবিতা জড়িয়ে নেয়ার নতুন ভূতকে বাস্তবায়নও করে ফেললাম। এর সমস্ত দায়ভার তোমার শরীফ সুজন। আর স্বল্প পরিসরে ঘরের ভিতর এই ছোট্ট শ্যূটিং আয়োজনে সহযোগিতার জন্য আমার পরিবারকেও ধন্যবাদ। এদিকে পুতুল এরই মধ্যে করোনা নিয়ে একটি গান গেয়েছেন। ‘মৃত্যু উপত্যকা উবে গিয়ে আসবে না কী জীবন গ্রাম’ গানটি লিখেছেন পুতুল নিজেই, সুর করেছেনও তিনি। এরই মধ্যে অনলাইনে গানটি প্রকাশও হয়েছে। পুতুল বলেন, সত্যি বলতে কী সারা বছরইতো আমি গান এবং লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাই। করোনার এই ঘরবন্দী সময়েও কিন্তু আমি থেমে নেই আমার কাজে। করোনা নিয়ে গানটি যদি সাধারণ মানুষের সচেতনতায় কাজে লাগে তবে সেটাই হবে আমার সার্থকতা। আমার বিশ্বাস খুব শীঘ্রই বিশ্ব করোনা মুক্ত হবে। আমরা সুন্দর এক পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি। সুন্দর পৃথিবীতে আবারও আমাদের দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। এদিকে এরই মধ্যে ধ্রæব মিউজিক স্টেশন থেকে প্রকাশিত লুৎফর হাসানের কবিতা ‘এসো হে মানুষ’এ কন্ঠ দিয়েছেন পুতুল। হাবিব মোস্তফার কথা ও সুরে ঐশীর ‘যৌবন গেল’ করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে প্রকাশ হয়েছে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ঐশীর নতুন গান ‘যৌবন গেল’। আধ্যাত্মিক ওই গানটি রচনা ও সুর করেছেন হাবিব মোস্তফা। আর সঙ্গীত আয়োজন করেছেন অণু মোস্তাফিজ। জি সিরিজের ব্যানারে প্রকাশ হওয়া ‘যৌবন গেল’ গানের নান্দনিক ভিডিও শ্রোতারা উপভোগ করছেন। গানটি প্রসঙ্গে হাবিব মোস্তফা বলেন, করোনা দুর্যোগে আমরা সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। এই সময়ে সাধারণ মানুষের মনে মরণচিত্র বেশি বেশি হয়। আমরা ‘যৌবন গেল’ গানটি মৃত্যুচিন্তার। জীবনের শেষ বেলায় এসে বিগত দিনের পাপাচারের কথা মনে করে বার্ধক্যে উপনীত একজন মানুষের অনুশোচনার বাণী ও সুরের সমন্বয় ‘যৌবন গেল’। ঐশী অত্যন্ত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। দেশ ও দেশের বাইরে তার অনেক ভক্ত-শ্রোতা রয়েছেন। ঐশীর দরাজ-রকিং ভয়েজ গানটির আবেদন বাড়িয়ে দিয়েছে। তার কণ্ঠে আমার একটি গান গীত হয়েছে-ভাবতে খুব ভাল লাগছে। সব সময়ের কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় অণু মোস্তাফিজ ভাইয়ের প্রতি, গানটিতে তিনি অত্যন্ত চমৎকার একটি সঙ্গীত আয়োজন করেছেন। কণ্ঠশিল্পী ঐশী বলেন, হাবিব মোস্তফা একজন তরুণ মেধাবী গীতিকার ও সুরকার। তার গানের কথায় ও সুরে নতুনত্ব ও গভীরতা রয়েছে। আমার গানের শ্রোতারা গানটিতে অন্য আমিকে খুঁজে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
×