ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা বারের সদস্যরা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাচ্ছেন

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ৩০ এপ্রিল ২০২০

ঢাকা বারের সদস্যরা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাচ্ছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের কারণে সুপ্রীমকোর্ট বন্ধ থাকায় জীবন ধারণের জন্য ঋণ চেয়ে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে আবেদন করেছেন সমিতির ২ হাজার ৮শ’ সদস্য। এদিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি (বার) এক বছরের জন্য বিনা সুদে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ঋণ দেবে আইনজীবীদের। বৃহস্পতিবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আগামী সপ্তাহের সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে অঙ্গীকারনামা দিয়ে এক বছরের জন্য এই ঋণের টাকা নেয়া যাবে। ঋণ চেয়ে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে আবেদন করেছেন সমিতির ২ হাজার ৮শ’ সদস্য। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সমিতির ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে ২ হাজার ৮০০ সদস্য ঋণের জন্য আবেদন করেছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নিজেদের সদস্যদের ঋণ দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি। ১৫ এপ্রিল এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আবেদনের সময়সীমা ছিল ২৫ এপ্রিল। ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, দুই হাজার আটশ’র অধিক আইনজীবী আবেদন করেছেন। ঋণ দেয়ার জন্য এখন আমরা পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করব। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তারপর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারী আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনও বন্ধ রয়েছে। কেবল জরুরী প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা রয়েছে। ঢাকা বারের সদস্যরা ৩০ হাজার টাকা ঋণ পাচ্ছেন ॥ করোনাভাইরাসের কারণে ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে বিপাকে পড়া আইনজীবীদের এক বছরের জন্য বিনা সুদে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ঋণ দেবে ঢাকা আইনজীবী সমিতি (বার)। বৃহস্পতিবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আগামী সপ্তাহের সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে অঙ্গীকারনামা দিয়ে এক বছরের জন্য এই ঋণের টাকা নেয়া যাবে। চার ক্যাটাগরিতে পাঁচ হাজার ৪৮৫ জন আইনজীবী এ ঋণ পাবেন। যাদের সদস্য হওয়ার বয়স ১ থেকে ৫ বছর, তারা পাবেন ২০ হাজার টাকা করে। এমন আবেদনকারী এক হাজার ৮০০ জন। যাদের সদস্য হওয়ার বয়স ৫ থেকে ২৫ বছর, তারা পাবেন ২৫ হাজার টাকা। এমন আবেদনকারী দুই হাজার ৮৯০ জন। আর যাদের সদস্য হওয়ার বয়স ২৫ বছরের বেশি তারা পাবেন ৩০ হাজার টাকা। এমন আইনজীবী ৩৩৫ জন। আর যাদের বেনেভোলেন্ট ফান্ডে টাকা নেই, তারা পাবেন দশ হাজার টাকা। এমন আইনজীবী ৪৬০ জন। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, বিনা সুদে ঋণের জন্য সাত হাজার ৫১১ জন তালিকাভুক্ত সদস্য আবেদন করেছিলেন। এরমধ্যে অনেকে একাধিকবারও আবেদন করেছেন। যাচাই-বাছাই শেষে পাঁচ হাজার ৪৮৫ জন ঋণের জন্য বিবেচিত হয়েছেন। আমরা চার ক্যাটাগরিতে সদস্যদের এক বছরের জন্য ঋণ দেব। ব্যাংকে আমাদের সমিতির এ্যাকাউন্টে টাকা রয়েছে। আমরা টাকার জন্য ব্যাংকে আবেদন করব। ব্যাংক থেকে টাকা পেলে ক্যাশের মাধ্যমে সদস্যদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিয়ে ঋণ দেয়া শুরু করব। আশা করছি আগামী সপ্তাহের সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে আমরা টাকা দেয়া শুরু করতে পারব।
×