ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভিডিও কনফারেন্সে কাদের

বাজার টিকিয়ে রাখতে সীমিত আকারে গার্মেন্টস চালু

প্রকাশিত: ২৩:০২, ১ মে ২০২০

বাজার টিকিয়ে রাখতে সীমিত আকারে গার্মেন্টস চালু

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, করোনা সঙ্কটে তৈরি পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার টিকিয়ে রাখার জন্যই ঢাকা ও আশপাশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো সীমিত আকারে চালু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কেননা দীর্ঘদিন এসব ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় এর আন্তর্জাতিক বাজার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিজ সরকারী বাসভবন থেকে ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সঙ্কটে তৈরি পোশাক শিল্পে আন্তর্জাতিক বাজার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা থেকে আমাদের নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ও আশপাশের এলাকার ফ্যাক্টরিসমূহ সীমিত আকারে খুলে দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করানোর শর্ত দেয়া হলেও ঢাকার বাইরে থেকে তাদের কেন আনা হচ্ছে, গার্মেন্ট মালিকদের কাছে তা জানতে চান ওবায়দুল কাদের। দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ২২শ’ অসহায়-গরিব মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আগে এই ভিডিও কনফারেন্স হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, দুই ধরনের ডাল, আলু, ছোলা, লবণ, চিনি, পেঁয়াজ, আটা ও হাত ধোয়ার সাবান। এ সময় দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতুল্লাহ এমপি, দলটির সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর শর্ত দেয়া হলেও ঢাকার বাইরে থেকে তাদের কেন আনা হচ্ছে, গার্মেন্ট মালিকদের কাছে তা জানতে চেয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, চালু করা ফ্যাক্টরিগুলোতে ঢাকায় অবস্থানকারী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। মালিকরাও তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু চাকরি হারানোর ভয়ে অসংখ্য শ্রমিক ঢাকায় প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে মালিকদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। যারা কাজ করছেন তাদের স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি। আওয়ামী লীগের ত্রাণ উপ কমিটির কাজের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনরা আজকে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেবেন- এ রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটাকে স্বাগত জানাই। এটা প্রশংসনীয় কাজ। আমাদের প্রিয় নেত্রী, আমাদের পার্টির সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কিছুক্ষণ আগে কথা বলেছি। আমাদের নেত্রী আজকে আপনাদের সকলকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আপনাদের এই কর্মকা-ের প্রশংসা করেছেন। ত্রাণ বিতরণে উপ-কমিটির এই উদ্যোগকে প্রশংসা করে এই কাজটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, এদেশের অনেক মানুষ আছে, যাদের কোন ঘর নেই, যারা রেলস্টেশন, টার্মিনাল, ফ্লাইওভারের নিচে, খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন অসংখ্য শিশুসহ অনেক মানুষ। তাই আজকে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অঙ্গীকার গৃহহীনদের ঘর দেয়ার। এখানে তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমাদের উপ-কমিটি তথা আমাদের নেতৃবৃন্দ প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বলছি ঘরে থাকতে হবে, আমি নিজেও ঘরে আছি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। কিন্তু যাদের ঘর নেই তারা থাকবে কোথায়? এদের ব্যাপারেও আমাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী যাতে কেউ গৃহহীন না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাহস ও ধৈর্যের সঙ্গে করোনা সঙ্কট মোকাবেলা করতে হবে। সারাদেশের গৃহহীনদের আবাসন ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে তালিকা করতে দলের নেতাকদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে গৃহহীনদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এসব মানুষের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে।
×