ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মান জানানো হবে করোনা যোদ্ধার ॥ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ৩০ এপ্রিল ২০২০

অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মান জানানো হবে করোনা যোদ্ধার ॥ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সঙ্কটকালে সংস্কৃতিচর্চার আগে ভাবতে হবে মানুষের কথা। মানুষের জন্যই সংস্কৃতি। তাই মানুষ বাঁচলে, রক্ষা পাবে শিল্প-সংস্কৃতিসহ সবকিছুই। মহামারী কেটে গেলে স্বাভাবিকভাবেই সংস্কৃতিচর্চা ফিরবে আপন স্রোতধারা শিল্প-সংস্কৃতিতে বইবে প্রাণের স্পন্দন। আপাতত এই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বাঁচাতে হবে বিপন্ন মানুষকে। বর্তমানে সবচেয়ে কষ্টে আছে স্বল্প আয়ের মানুষেরা। এই তালিকায় সর্বসাধারণ থেকে আছেন বিভিন্ন শিল্পমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্পীরাও। অনেকের ঘরেই আজ দিন চলার মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নেই। চলছে আর্থিক অনটন। সেসব মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। এখন মানবিক সহযোগিতার সেই কাজটাকে প্রাধান্য দিচ্ছি। করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এভাবেই নিজ কর্মকা-ের কথা বললেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ কে এম খালিদ। জনকণ্ঠের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে নিজ মন্ত্রণালয়সহ সরকারী বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় অনেকেই নিজের জীবনবাজি রেখে দাঁড়াচ্ছেন মানবতার সেবায়। সেই করোনা যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান করার কথা জানান কে এম খালিদ। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, সেনাবাহিনী কিংবা র‌্যাব সদস্যরা নিজ জীবনের ঝুঁকিকে তুচ্ছ করে দাঁড়াচ্ছেন মানুষের পাশে। করোনা আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে তাদের অনেকেই নিজেরা আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তবুও যে যার অবস্থান থেকে নানা রকম সহায়তা দিচ্ছেন আপামর জনগোষ্ঠীকে। এমনকি সংবাদকর্মীরাও ঝুঁকি নিয়ে তথ্য সরবরাহ করে সহযোগিতা করছেন। একজন সাংবাদিক মারাও গেছেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে আমরা এই করোনা যোদ্ধাদের অবদানকে স্বীকার করে তাদের প্রতি ভালবাসা জানাতে চাই। একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই তাদের সম্মান জানানো হবে। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানটির কাজ শুরুও হয়েছে। এখন যেহেতু জনসমাগম করে উন্মুক্তভাবে কোন আয়োজন সম্ভব নয়, তাই টিভিতে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার হবে। এককভাবে আগামী ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্র ঠাকুরের জন্মদিনও ডিজিটালভাবে উদ্যাপন করা হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে রবীন্দ্রজয়ন্তীর মতো নজরুলজয়ন্তীও ডিজিটালভাবে উদ্্যাপন করা হবে। সংস্কৃতির স্থবিরতা কেটে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহামারী তো আর চিরস্থায়ী কিছু নয়। বিশ্ববাসীর প্রচেষ্টায় যে কোন সময় পরাজিত হবে এই অদৃশ্য ভাইরাস। এখন শুধু সঙ্কট কেটে যাওয়ার অপেক্ষায় আছি। আর সঙ্কটের উত্তরণ ঘটলেই নবজাগরণের প্রত্যয়ে শুরু হবে সংস্কৃতিচর্চা। এই সময়ে করোনার কারণে আমরা যতটুকু পিছিয়েছে তার পুরো পুনর্জাগরিত করা হবে। দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কী কী করতে হবে সেই পরিকল্পনারও প্রণয়ন শুরু করেছি।
×