ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৫ দিন পার

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২৯ এপ্রিল ২০২০

খালেদার হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৫ দিন পার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৫ দিন পার করলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সাময়িক মুক্তি পেয়ে ২৫ মার্চ গুলশানের বাসায় অবস্থান নেন এবং পরদিন ২৬ মার্চ থেকে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের পরামর্শে হোম কোয়ারেন্টাইন শুরু করেন তিনি। এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় আপাতত খালেদা জিয়া বাসার বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। ঈদের আগে তিনি বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করবেন না। গুলশানের বাসা ফিরোজায় তাঁর সঙ্গে কাজের মেয়ে ফাতেমা এবং একজন নার্সও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তারাও বাসার বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করেন না। সোয়া ২ বছর বন্দী জীবন শেষে স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২৫ মার্চ ৬ মাসের জন্য কারামুক্ত হয়ে সরাসরি গুলশানের বাসায় গিয়ে ওঠেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ওইদিন আত্মীয়-স্বজন ও দলের কিছু নেতা বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। ২৬ মার্চ থেকে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইন শুরু করেন। তাই আরও কিছু বিএনপি নেতা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তাদের আর সে সুযোগ হয়নি। প্রথমে বলা হয়েছিল ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে তিনি সবার সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু ৮ এপ্রিল হোম কোয়ারেন্টাইনের ১৪ দিন পার হওয়ার পর খালেদা জিয়ার বাসা থেকে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয় তিনি পুরো রমজান মাসব্যাপী হোম কোয়ারেন্টাইন চালিয়ে যাবেন এবং এ সময় বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করবেন না। এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইন চলাকালেও স্বজনদের মধ্যে বোন সেলিমা ইসলাম ও ভাই শামীম ইস্কান্দার মাঝে মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার জন্য বাসায় তৈরি বিভিন্ন খাবার ও ফলমূল নিয়ে যান। তবে ঈদের পর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন বলে জানা গেছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর ডায়াবেটিস এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এছাড়া তিনি রিউমেটিক আর্থারাইটিস এবং চোখ ও দাঁতের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাঁর হাত-পায়ের ব্যথাটাও রয়ে গেছে। এছাড়া তিনি অপরের সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না। তাঁর সুস্থতার অগ্রগতি স্লো। সুস্থতার জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। গুরুতর অসুস্থতার কারণে গতবছর ১ এপ্রিল তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলের কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতে স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বয়স ও মানবিক বিবেচনায় ৬ মাসের সাজা স্থগিত রেখে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়। ২৫ মার্চ মুক্তির দিনই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একটি টিম তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। তারা খালেদা জিয়াকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন এবং কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে বলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয় ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।
×