ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খেলাপী না দেখানোর সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি

প্রকাশিত: ২১:২৪, ৩০ এপ্রিল ২০২০

খেলাপী না দেখানোর সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে আগামী জুন পর্যন্ত কোন ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও খেলাপী হবে না এমন নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এ সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীরা। মঙ্গলবার করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে করণীয় নির্ধারণে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভিডিও কনফারেন্সে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবির, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার এবং এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (এবিবি) সভাপতি আলী রেজা ইফতেখারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। এ সময় বিএবি এবং এবিবি নেতারা খেলাপী না দেখানোর সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি দাবি করেন। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নরকে খেলাপী না দেখানোর সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করেন। বিষয়টি সময়মতো বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন গবর্নর ফজলে কবির। এ সময় বিএবি এবং এবিবির চেয়ারম্যানরা সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের প্রশংসা করেন। এবিবি সভাপতি আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নগদ জমা সংরক্ষণ (সিআরআর) হার এবং রেপোর হার কমানোর সিদ্ধান্ত খুবই কার্যকরী হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কারণে গ্রাহকদের নগদ উত্তোলনের চাপ সামলানো গেছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের কারণে ডিপোজিট কমার চাপও সামলানো সম্ভব হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে অর্থমন্ত্রী ব্যাংক নেতাদের খেলাপী ঋণ নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস পরবর্তী রাস্তা খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। তাই খেলাপী ঋণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাশাপাশি পরিচালন ব্যয় কমাতে হবে। অযথা অপচয় রোধ করতে হবে। এ সময় তিনি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর উদাহরণ অনুসরণ করতে বলেন। এ সময় তিনি ব্যাংক নেতাদের দেশে বিকল্প বিনিয়োগ তৈরিতে বন্ড মার্কেট উন্নয়নে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দেন। ভিডিও কনফারেন্সে এবিবি চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার প্রণোদনা প্যাকেজের অধীনে ব্যাংকগুলোকে ক্রেডিট রিস্ক গ্যারান্টি স্কিম বা ঝুঁকি নিরসন গ্যারান্টি স্কিম চালুর অনুরোধ করেন। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির লাইফলাইন হলো ব্যাংকিং খাত। তাই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য যা যা করণীয় দরকার তার সবই করা হবে। এ সময় বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার অর্থমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান।
×