ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএসএমএমইউর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস কাল

প্রকাশিত: ২২:১০, ২৯ এপ্রিল ২০২০

বিএসএমএমইউর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস কাল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির (বিএসএমএমইউ) ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ২৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস কাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’। করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে এ বছর সমাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আয়োজনের মাধ্যমে এবং ‘মানবশত্রু ভাইরাস করোনা-এই যুদ্ধে বাংলাদেশ হারবে না’ অঙ্গীকার নিয়ে উদযাপিত হবে দিবসটি। এ বছর আয়োজনের মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বি-ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বি-ব্লকের সামনে গোল চত্বর জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন। এছাড়া বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়ার শুভেচ্ছা বাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শুভানুধ্যায়ীসহ শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীদের মোবাইল ফোনে/অনলাইনে পৌঁছে দেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস সামনে রেখে উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া গণমাধ্যমে দেয়া এক শুভেচ্ছা বাণীতে ২০২০ সালকে মুজিব শতবর্ষ উল্লেখ করে বলেন, ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধুর কারণেই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও বছরব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। দেশ ও বিশ্বের ক্রান্তিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসক সমাজকে মনোবল না হারিয়ে সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার যে আহ্বান জানিয়েছেন তা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত এবং অতীবও জরুরী। উপাচার্য তার শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, ২৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ সংখ্যায় আত্মদানকারী পেশাজীবী বাংলাদেশের মহান চিকিৎসকগণকে আমার সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা জয়ী হয়েছিলাম ঠিক তেমনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে আমরা করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি। এই যুদ্ধে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সেবা কর্মীরা হচ্ছেন অগ্রবর্তী বাহিনী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো জাতি আমাদের সঙ্গে আছে। এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার কোন বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্টে (পিপিই) সজ্জিত হয়ে আমাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মানবিকতা নিয়ে রোগীদের পাশে দাঁড়াব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০-এ এটাই আমার মূল বক্তব্য। সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসা সেবাকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সঙ্গে সঙ্গে সকল শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। -বিজ্ঞপ্তি
×