ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী ৪ মের মধ্যে বন্দরের কন্টেইনার খালাসে ভাড়া মওকুফ

প্রকাশিত: ২০:০৩, ২৮ এপ্রিল ২০২০

আগামী ৪ মের মধ্যে বন্দরের কন্টেইনার খালাসে ভাড়া মওকুফ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ আগামী ৪ মের মধ্যে খালাস করলে কোনো ভাড়া নেবে না চট্টগ্রাম বন্দর। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে সব ধরনের কন্টেইনারের ভাড়া শতভাগ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়। আগামী ৪ মে পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের কারণে আমদানি করা কন্টেইনার খালাস না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে জট লেগেছে। বিজিএমইএ, বিকিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার শুধু তাদের সদস্যদের আনা কন্টেইনার ৪ মে পর্যন্ত খালাসের ক্ষেত্রে ভাড়া মওকুফের ঘোষণা দিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার এ সুবিধা সব আমদানিকারকদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হল। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর ২৭ মার্চ থেকে ৪ মে পর্যন্ত যেসব পণ্যভর্তি কন্টেইনার আসছে বা আসবে, তা ৪ মের মধ্যে আমদানিকারকরা বন্দর থেকে ডেলিভারি নিলে সেসবের বিপরীতে আদায়যোগ্য ভাড়া শতভাগ মওকুফ করা হবে।” এতে করে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড থেকে কন্টেইনার ডেলিভারি বেশি হবে এবং চলমান কন্টেইনার জট কমবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। বন্দর সচিব জানান, বন্দরে বর্তমানে ৪৭ হাজারের মতো কন্টেইনার রয়েছে, যা ধারণ ক্ষমতা ছুঁই ছুঁই করছে। জট কমাতে বন্দরে জমে থাকা কন্টেইনার অফডকে নেওয়াসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ হলেও তাতে কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় ভাড়া মওকুফের এই ছাড় দেওয়া হল। মহামারী ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে বন্দরের কন্টেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। ছুটি শুরুর পর ক্রমাগত বন্দর থেকে আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ডেলিভারি নেওয়া কমতে থাকে। এরপর প্রথম দফায় মাশুল মওকুফের ঘোষণাতেও ডেলিভারি গতি পায়নি। এরপর ১৮ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির সময় আমদানি করা পণ্য ২০ এপ্রিলের মধ্যে খালাস হলে মাশুল মওফুক সুবিধা মিলবে বলে ঘোষণা দেয় বন্দর। তা না হলে পুরো ভাড়াই দিতে হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। এরপর সব ধরনের আমদানি পণ্য অফডকে নিয়ে ছাড় করানোর অনুমোদন দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তখন আবারও বন্দরে থাকা কন্টেইনারের মাশুল মওকুফের আহ্বান জানায় তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা। এরপর সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তৈরি পোশাক খাতের আমদানি কন্টেইনারের জন্য ৪ মে পর্যন্ত মাশুল ছাড়ের ঘোষণা দেয় বন্দর। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে মঙ্গলবার সব ধরণের পণ্যের জন্য এ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা এল। বন্দর কর্মকর্তারা জানান, জাহাজ থেকে নামানোর পর বন্দর চত্বরে প্রথম চার দিন বিনা মাশুলে কন্টেইনার রাখা যায়। এরপর প্রথম সপ্তাহ প্রতিদিন ছয় ডলার করে, দ্বিতীয় সপ্তাহ প্রতিদিন ১২ ডলার করে এবং তৃতীয় সপ্তাহে প্রতিদিন ২৪ ডলার করে প্রতি কন্টেইনারের জন্য মাশুল দিতে হয়।
×