ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

৪ শতাংশ সুদে শাক-সবজি চাষেও ঋণ পাবে কৃষক

প্রকাশিত: ০০:০১, ২৮ এপ্রিল ২০২০

৪ শতাংশ সুদে শাক-সবজি চাষেও ঋণ পাবে কৃষক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চার শতাংশ সুদে এখন থেকে শাক-সবজি চাষেও ঋণ পাবে কৃষক। একইসঙ্গে ধান, গম, শস্য, অর্থকরী ফসল চাষের জন্য কৃষক যাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে, সে জন্য একটি তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। গাইডলাইনটি দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আগামীতে খাদ্যের উৎপাদন ও খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে কৃষি খাতে শস্য ও ফসল চাষের জন্য কৃষক পর্যায়ে স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ সরবরাহ করা অত্যাবশ্যক। উল্লেখ্য, আমদানি বিকল্প ফসল (ডাল, তৈলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা) চাষ করার জন্য কৃষক পর্যায়ে ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদ হারে কৃষি ঋণ বিতরণের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা রয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমদানি বিকল্প ফসলের পাশাপাশি কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচীতে উল্লিখিত ধান, গমসহ সব দানা শস্য, অর্থকরী ফসল, শাক-সবজি ও কন্দাল ফসল চাষের জন্যও সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় কৃষক পর্যায়ে প্রণোদনা হিসেবে ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদ হারে কৃষি ঋণ বিতরণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হলো। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক হতে প্রকৃত সুদ-ক্ষতি বাবদ ৫ শতাংশ হারে সুদ-ক্ষতি পুনর্ভরণ সুবিধা প্রাপ্য হবে। এ স্কিমের মেয়াদ হবে ১ এপ্রিল ২০২০ হতে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত। কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচীতে উল্লেখিত ধান গমসহ সব দানা শস্য, অর্থকরী ফসল, শাক-সবজি ও কন্দাল ফসল চাষের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো পূর্ববর্তী বছরগুলোর ন্যায় নিজস্ব উৎস হতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত তাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কৃষক পর্যায়ে ৪ শতাংশ হার সুদে ঋণ বিতরণ করবে। এছাড়া শস্য ও ফসল চাষের জন্য রেয়াতি সুদে ঋণ বিতরণ ও আদায়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারি করা কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচীতে উল্লেখিত ঋণ নিয়মাচার এবং অন্যান্য নীতিমালা যেমন-কৃষক প্রতি ঋণের সর্বোচ্চ সীমা, জামানত, আবেদনপত্র গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণের সময়কাল, ঋণগ্রহীতার যোগ্যতা নিরূপণ, পাস বইয়ের ব্যবহার, ঋণ বিতরণ, ঋণের সদ্ব্যবহার, তদারকি ও আদায় ইত্যাদি যথারীতি প্রযোজ্য হবে। এ স্কিমের আওতায় ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে সরাসরি কৃষক পর্যায়ে ৪ শতাংশ সুদ হার নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশনা গত ১ এপ্রিল কার্যকর বলে গণ্য হবে।
×