ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ ৭ মে পর্যন্ত

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ২৮ এপ্রিল ২০২০

আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ ৭ মে পর্যন্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের পিকআওয়ার থাকায় আবারও নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে বিমান চলাচলে। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে আগামী ৭ মে পর্যন্ত। এ নিয়ে চতুর্থ দফা বাড়ানো হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞা। তবে এরপরই শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হতে পারে দেশের বিমানবন্দরগুলো। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানিয়েছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আবারও নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে। তবে সুখবর আসতে পারে ৭ মে পর। এ নিয়ে কাজ করছে সিভিল এভিয়েশন। জানা গেছে, কিভাবে সীমিত আকারে ফ্লাইট চালু করা যায়- সে কর্ম কৌশলও মোটামুটি তৈরি করা হয়েছে। এয়ারলাইন্সগুলোকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে এয়ারপোর্ট বন্ধ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম থাকবে, যাতে জরুরী ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারে। এবারের নিষেধাজ্ঞার পর পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৭ মের পর সীমিত আকারে দেশের সব বিমানবন্দর খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। বিশেষ করে ১০ মে থেকে ফ্লাইট চলাচলের টার্গেট নিয়ে টিকেট বিক্রির প্রস্তুতি নিবে দুটো বেসরকারী এয়ারলান্স ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার। ইউএস বাংলার এমডি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে নিয়ে হলেও ঈদের আগেই ফ্লাইট চালানোর সুযোগ দিতে হবে। তা না হলে সঙ্কট আরও চরমে উঠবে। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। অস্ট্রেলীয়দের নিয়ে দ্বিতীয় ফ্লাইট ৭ মে ॥ করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ থেকে স্বদেশী নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ওই অস্ট্রেলিয়ানদের নিয়ে আগামী ৭ মে ঢাকা ছেড়ে যাবে বিশেষ ফ্লাইট। সোমবার এক বিবৃতিতে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন জানিয়েছে ফ্লাইটের সময়সীমা। এতে বলা হয়- অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে ইচ্ছুক আগ্রহীদের ২৩ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। এ পর্যন্ত ৩০০ জন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক আবেদন করেছেন। ফ্লাইটের টিকেটের টাকা দেয়ার বিষয়ে আবেদনকারীরা তথ্য পেয়ে যাবেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকেট কেটে ফেলুন।
×