ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে আরও পাঁচ করোনা রোগীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪১৮

প্রকাশিত: ২২:০৭, ২৭ এপ্রিল ২০২০

  দেশে আরও পাঁচ করোনা  রোগীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪১৮

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে আরও পাঁচজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে আক্রান্ত ৪১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ফল পাওয়া গেছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৪৫ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৪১৬ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ জন এবং এখন পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১২২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৫ হাজার ১৪৯ জন করোনা রোগী। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৫৮৯টি। মোট আক্রান্তের ৮৫ শতাংশ করোনা রোগী ঢাকা বিভাগে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগ। রবিবার দুপুরে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অন লাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা পাঁচ জনের বিষয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ তিন জন এবং নারী দুই জন। এদের মধ্যে ঢাকার চার জন এবং দোহারে একজন। যারা মারা গেছেন তাদের একজনের বয়স ১০ বছরের নিচে। মৃত শিশুটির কিডনির সমস্যা ছিল। অন্যদের মধ্যে ৬০ বছরের উর্ধে একজন এবং ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন ছিলেন। বুলেটিনে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, নমুনা সংগ্রহ গত দিনের তুলনায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি এবং নমুনা পরীক্ষা গত দিনের চেয়ে চার শতাংশ বেশি। যারা গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এরা হাসপাতালে ভর্তি থেকে সুস্থ হয়েছেন। আমাদের বেশির ভাগ আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়িতে অবস্থান করে সুস্থ হয়ে যান, সেই তথ্য আমরা এখানে দেই না। বুলেটিনে জানানো হয়, করোনা শনাক্তদের মধ্যে বেশিরভাগই স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত অর্থাৎ চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নকর্মী, গাড়িচালক, ওয়ার্ডবয় ও আয়া। এখন পর্যন্ত একজন চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া শুধু চিকিৎসক নয়, বিভিন্ন সেবা সংস্থা যেমন পুলিশের অনেকেও সংক্রমিত হয়েছেন। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৫ জনকে, এখন পর্যন্ত মোট আইসোলেশনের সংখ্যা ১ হাজার ১৬৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৪ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৭০৯ জন। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৬৩ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৯৭ হাজার ১৩২ জন। এখন পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭৯ হাজার ৮৯৯ জন। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিমানবন্দরসমূহে ১৭৮ জন, স্থলবন্দরসমুহে ১০৮ জন এবং সমুদ্রবন্দরসমূহে ১২৮ জন বিদেশফেরতকে স্ক্রিনিং করানো হয়েছে। এ পর্যন্ত বিমান, সমুদ্র ও স্থলবন্দরে এবং ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে প্রবেশ করা মোট ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৯৪০ জন বিদেশফেরতকে স্ক্রিনিং করানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৩২১টি পিপিই এবং বিতরণ করা হয়েছে ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩৮। বর্তমানে মজুদ রয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৪টি পিপিই। করোনা সংক্রান্ত কলের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য বাতায়নের নম্বরে ৫৪ হাজার ৯৩১টি, ৩৩৩ নম্বরে ২০ হাজার ১০৩টি এবং আইইডিসিআরের নম্বরে ২৮৬৭টি করোনা সংক্রান্ত কল এসেছে। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় মোট কল এসেছে ৭৭ হাজার ৯০১টি। এ পর্যন্ত হটলাইনগুলোতে করোনা সংক্রান্ত মোট কল এসেছে ৩৩ লাখ ৯১ হাজার ২১১টি। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আরও জানান, এখনও ঢাকা বিভাগেই বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এই হার ৮৫ শতাংশ। এভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগে দশমিক ৭৭ শতাংশ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
×