ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক মৃত্যু কমেছে

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ২৭ এপ্রিল ২০২০

 যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক মৃত্যু কমেছে

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এ কথা জানায়। এতে বলা হয়, এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারীতে মোট ৫৩ হাজার ৫১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৯৩ জন। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির। বিশ্বে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যার হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। প্রায় তিন সপ্তাহ পরে শুক্রবার দৈনিক হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা কমে ১ হাজার ২৫৮ জনে দাঁড়ানোর পরে শনিবার পুনরায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ৪৯৪ জন। কিন্তু এর মধ্যেও দেশটির চলমান লকডাউন তুলে দিতে সম্প্রতি দেশটির প্রায় ১২ অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। অর্থকষ্ট, কাজ হারানোর ভয়সহ অন্যান্য কারণে মঙ্গলবার নর্থকারোলাইনা, ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়া, অরেগন, আলাবামা, ম্যারিল্যান্ড, টেক্সাস ও ফ্লোরিডাসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামে। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে ওয়াশিংটনে। সামাজিক দূরত্বর বিধান না মেনে অনেকে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। লকডাউনে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোটি ২০ লাখ লোক কাজ হারিয়েছে। আবার অনেকে কোয়ারেন্টাইনে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে দেশটির ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। টেক্সাসের বিক্ষোভে যোগ দেয়া এ্যালেক্স জোন্স নামে এক বিক্ষোভকারী অন্যদের সঙ্গে হাত মেলান। তিনি করেনাভাইরাস প্রসঙ্গে বাজারে চাউর হওয়া ষড়ষন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বাস করেন। বিক্ষোভে যোগ দেয়াদের সাধুবাদ জানান তিনি। অপর এক বিক্ষোভকারী বলেন, লকডাউনের কারণে আমার কাজ নেই। আমি আমার পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছি না। তাই আমি এ লকডাউন চাই না ঘরবন্দী দশার নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে গত সপ্তাহেও টেক্সাস ও উইসকনসিনে কয়েক শ’ মানুষ বিক্ষোভ করেছে। টেক্সাসের রাজধানী অস্টিনে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা ‘যুক্তরাষ্ট্র, আমাদের কাজ করতে দাও’ বলে স্লোগান ধরে। আর উইসকনসিনের ব্রুকফিল্ডে মূল সড়কের একপাশে প্রতিবাদকারীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নাড়িয়ে অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষের ঘরবন্দী দশার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানায়।
×