ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সীমিত পরিসরে খুলছে পোশাক কারখানা ॥ কাজে যোগ দেবেন ঢাকায় থাকা শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ২৫ এপ্রিল ২০২০

সীমিত পরিসরে খুলছে পোশাক কারখানা ॥ কাজে যোগ দেবেন ঢাকায় থাকা শ্রমিকরা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অঞ্চলভিত্তিক পোশাক কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে আপাতত ঢাকার বাইরে চলে যাওয়া শ্রমিকদের না আনতে সংগঠনের সদস্যদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ঢাকার বাইরে গ্রামে চলে যাওয়া শ্রমিকদের ছাঁটাই না করে এপ্রিল মাসের বেতন পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। খবর ওয়েবসাইটের। শনিবার বিজিএমইএ’র ওয়েবসাইটে সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশে দেয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য সামগ্রিক বিবেচনায় বিজিএমইএ আপনাকে জোনভিত্তিক, সীমিত পরিসরে কারখানা খোলার পরামর্শ দেবে সরাসরি। এর আগে শ্রমিকদের ঢাকায় না আনার জন্যও সদস্যগণকে পরামর্শ দেয়া হলো।’ বার্তায় বিজিএমইএ সদস্যদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘সেইসব কর্মীদের নিয়ে কারখানা চালু করুন, যারা কারখানার নিকটবর্তী স্থানে বসবাস করেন।’ বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘মানবিক কারণে শ্রমিকদের ছাঁটাই না করার জন্য সদস্যদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। অনুপস্থিত শ্রমিককে এপ্রিল মাসের বেতন পৌঁছে দেয়া হবে।’ এতে বলা হয়, ‘পরামর্শ অনুযায়ী কারখানা খোলার তারিখ ও প্রটোকল দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিপালন করার অনুরোধ করছি।’ সদস্যদের উদ্দেশে বিজিএমইএ’র নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে ওই বার্তায় বলা হয়, যে কোন পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা কারও সমর্থন ছাড়াই নিয়মবহির্ভূতভাবে ঢাকায় চলে এলে সংগঠন থেকে সদস্যদের সহযোগিতা দেয়া সম্ভব হবে না। চট্টগ্রামের শতাধিক কারখানা খুলছে ॥ দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকার মধ্যে চট্টগ্রামের তিনটি ইপিজেডের ১১০টি কারখানা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ইপিজেড কর্তৃপক্ষগুলো বলছে, বিদেশী ক্রেতাদের কার্যাদেশ রয়েছে এবং রফতানি অব্যাহত রাখার জন্য কারখানাগুলো খোলার দিকে যাচ্ছে। ‘যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ রবিবার থেকে সীমিত পরিসরে কাজ শুরু করবে এসব কারখানা। এতে শ্রমিক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংক্রমণ ঝুঁকি ‘তৈরি হবে না’ বলে তারা দাবি করলেও জেলা সিভিল সার্জন তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। যে কোন ধরনের জমায়েতই নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করবে বলে সাবধান করেছেন তিনি। কারখানা চালু করতে হলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলেছেন এই চিকিৎসক। চট্টগ্রামের তিন ইপিজেডের বাইরেও বিজিএমইএ’র আওতাধীন চট্টগ্রামের কিছু কারখানাও খুলতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেপজার অধীনে চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী ইপিজেড রয়েছে। এর বাইরে আনোয়ারায় রয়েছে ইয়ংওয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন কোরিয়ান ইপিজেড। চট্টগ্রাম ইপিজেডের জিএম খুরশিদ আলম শনিবার বলেন, ‘বিভিন্ন কারখানা রবিবার থেকে আংশিকভাবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। শ্রমিকদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানা পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, রবিবার চট্টগ্রাম ইপিজেডের ৭০টির মতো কারখানা সীমিত পরিসরে চালু হতে পারে। প্রতিটি কারখানা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করবে।
×