ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সতর্ক থাকার পরামর্শ

সারাদেশেই ঝড়বৃষ্টি ॥ এ অবস্থা আরও দুদিন চলবে

প্রকাশিত: ১০:০৯, ২৫ এপ্রিল ২০২০

   সারাদেশেই ঝড়বৃষ্টি ॥ এ অবস্থা আরও দুদিন চলবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুদিন ধরে হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন এমন আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। শুক্রবার প্রায় এক ঘণ্টার মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতে প্রশান্তি ফিরে পান বাসাবন্দী নগরবাসী। বর্তমানে চলছে কালবৈশাখী ও বজ্রপাতের সময়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গত দুদিন ধরে রাজধানীতে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার সারাদিন রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। বেলা আড়াইটার পর পুরো আকাশে নেমে আসে অন্ধকার। সৃষ্টি হয় গুমোট পরিবেশ। আর বিকেল তিনটার দিকে নেমে আসে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। করোনাভাইরাসের কারণে বাসায় অবস্থানরত নগরবাসীরা ফিরে পায় প্রশান্তি। রাস্তাঘাটে, অলিগতিতে তেমন লোকজন না থাকায় বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগের চেয়ে প্রশান্তির ভাগই বেশি ছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরাজ করে বৃষ্টির আমেজ। পুরো আকাশ থাকে মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টির কারণে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। কালবৈশাখী অল্প সময় ধরে বয়ে গেলেও ভারি বৃষ্টির ঝরেছে অনেক সময় ধরে। বৃষ্টির রূপ আর আচরণ অনেকটাই বর্ষাকালের মতো। শুক্রবার সারা দেশেই ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা শনিবারও থাকতে পারে। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রাজধানী ঢাকায়। তিনি বলেন, চলতি এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চলে বেশ গরম পড়েছিল। সেখানে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তার কাছাকাছি ছিল। এ সময় থেকে এখন পর্যন্ত বাতাসে বা বায়ুম-লের নিম্নস্তরে প্রচুর জলীয় বাষ্পের জোগান আসছে সাগর থেকে। অন্যদিকে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে তাপীয় লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প তাপীয় লঘুচাপের কারণে ওপরে উঠে যাচ্ছে। সেখান থেকে মেঘ সৃষ্টি হচ্ছে। এই মেঘ যখন দক্ষিণ বা পূর্ব দিকে আকারে বড় হয়ে এগিয়ে যায়, সে সময় বাতাস বয়ে যায়। সঙ্গে বৃষ্টিও হয়। আবহাওয়ার রূপ এখন তেমনই রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। দুপুরে আকাশ কালো হয়ে সন্ধ্যার পরিবেশ নেয়। এরপর নামে মুষলধারে সৃষ্টি। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। তবে বাতাসের গতি ছিল কম। এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয় ঢাকা, বরিশাল, সিলেট, খুলনা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে মংলায় ৮৩ মিলি মিটার। এছাড়া শ্রীমঙ্গল ও রাজারহাটে ৭০, ঢাকায় ৪৭, টাঙ্গাইলে ৩২, গোপালগঞ্জে ৪০, চাঁদপুরে ৩৫, রংপুরে ২৫, সৈয়দপুরে ১৬, তেঁতুলিয়ায় ১৭, খুলনা ও ডিমলায় ৪৩, যশোর ২৭, চুয়াডাঙ্গা ২৫, পটুয়াখালী ১০, খেপুপাড়ায় ২৪ মিলি মিটার বৃষ্টি হয়। এছাড়া প্রায় সারাদেশেই ১ থেকে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগেরদিন বৃহস্পতিবারও রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড় ও মুষলধারে বৃষ্টিপাত। সেই সঙ্গে ছিল বজ্রপাত ও শিলা বৃষ্টি। বৃষ্টিপাতের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায় দেখা দেই জলাবদ্ধতা।
×