ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাওরানবাজার খোলা রাখার নতুন সময়সূচী

জাল টাকা প্রতিরোধে কড়া নির্দেশনা, চলছে মনিটরিং

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২৫ এপ্রিল ২০২০

 জাল টাকা প্রতিরোধে কড়া নির্দেশনা, চলছে মনিটরিং

গাফফার খান চৌধুরী ॥ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কাওরানবাজার খোলা রাখার নতুন সময়সূচী নির্ধারণের পাশাপাশি জাল টাকা প্রতিরোধেও কড়া নিদের্শনা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করছে। কারণ এবার আলো আঁধারিতে বসছে কাওরানবাজারের নিত্যপণ্যের বেচাকেনার পসরা। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত বাজার চলবে। এমন সুযোগে জাল টাকা চক্র অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে বলে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ধারণা করছে। এজন্য বাজারে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনাও দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা। মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনে পুলিশের মানিএস্কর্ট টিমের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়। যারমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অহেতুক ঘোরাফেরা করা মানুষজনকে ঘরে রাখতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জরিমানা করা হচ্ছে। এর আগে ঢাকার সব শপিংমল বন্ধ ঘোষণা করে দোকান মালিক সমিতি। পুলিশের তরফ থেকে বাজারের সময়সূচীতে পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমানে সকাল ছয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শুধু কাঁচাবাজার খোলার রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। আর পাড়া মহল্লার দোকান সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত খোলার নির্দেশনা জারি করা হয়। নিয়মিত তা মনিটরিং করা হচ্ছে। করেনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কাওরানবাজারে লোক সমাগম কমাতে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে করণীয় সম্পর্কে বৃহস্পতিবার এক বিশেষ বৈঠক হয়। বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাব, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রতিনিধি ও কাওরানবাজারের দোকান মালিক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ সেই বৈঠকে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। নতুন কর্মসূচী মোতাবেক শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত কাওরানবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সকল পণ্যসামগ্রী লোড আনলোড করতে হবে। সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল ছয়টার মধ্যে পাইকারি ক্রেতাগণকেও তাদের পণ্য ক্রয় করে বাজার ত্যাগ করতে হবে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পণ্য বিক্রয়কালীন বিক্রেতা, বিক্রেতার সহকারী হিসেবে সর্বোচ্চ একজন থাকতে পারবেন। আর ক্রেতা সর্বক্ষণিক মাস্ক ও হ্যান্ডগ্ল্যাভস পরিধান করবেন। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কেই নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাজার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বাজারে আগত ক্রেতা, বিক্রেতা পণ্য পরিবহন ও মালামাল ওঠানামার সঙ্গে জড়িত সকলের জন্য সাবান ও হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। এছাড়াও বাজারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবেন। যাতে ক্রেতা ও বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়। বাজার কমিটি পৃথক পৃথক প্রবেশ ও বাইর হওয়ার পথের ব্যবস্থা করবেন। যাতে সকলের সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে। এমনকি এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে স্পর্শ করতে পারবেন না। বাজার এলাকায় হকারের মাধ্যমে কিংবা ভ্যানে কিংবা ফুটপাথে পসরা সাজিয়ে কোন ধরনের খাবার কিংবা পণ্যসামগ্রী বিক্রি করা যাবে না। আর খুচরা বাজারের সময়সীমা প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে। মাছের পাইকারি বাজার ভোর তিনটা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চলবে।
×