ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইউনিয়নে ইউনিয়নে ক্রয়কেন্দ্র চালুর দাবি সিপিবির

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২৫ এপ্রিল ২০২০

 ইউনিয়নে ইউনিয়নে  ক্রয়কেন্দ্র চালুর দাবি সিপিবির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কৃষক ও কৃষি বাঁচাতে সরকারীভাবে ইউনিয়নে ইউনিয়নে ক্রয়কেন্দ্র চালু করে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানিয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। শুক্রবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ রেসপন্স টিমের এক সভায় এ দাবি জানানো হয়। পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক, মিহির ঘোষ, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আহসান হাবিব লাবলু, রুহিন হোসেন প্রিন্স, জলি তালুকদার, মাহবুবুল আলম প্রমুখ। অনলাইন সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, চলমান করোনা সঙ্কটের কারণে দেশের অর্থনীতি চরম হুমকির মুখে। এই অবস্থায় দেশের কৃষিকে বাঁচাতে হবে। কৃষি বাঁচাতে না পারলে দেশ চরম সঙ্কটের মুখে পড়বে। এজন্য কৃষক যাতে ধানের লাভজনক দাম অর্থাৎ উৎপাদন ব্যয়ের দেড়গুণ দাম পায়, তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের কঠোরভাবে দমনের দাবি জানিয়ে সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবার দেখা যায় মধ্যস্বস্ত ভোগীদের কারণে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। তাদের খরচের টাকা ওঠে না। ফলে উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হতে থাকেন। যা কৃষিখাতে অশুভ লক্ষণ। নেতৃবৃন্দ বলেন, মুনাফালোভী ‘রাইস মিল মালিক’ ও ‘ধান-চাল সিন্ডিকেট’ এর প্রতারণায় কৃষক যেন বিপন্ন না হয়, তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ‘সরকারী ক্রয় কেন্দ্র’ চালু করে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, কৃষকের বোরো ধান কাটা, মাড়াই, নিরাপদে ঘরে তোলা, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি কাজে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। ধান কাটার জন্য ফসলের এলাকায় বিনা খরচে ক্ষেতমজুরদের যাতায়াত, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা, থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। ক্ষেতমজুররা কর্মস্থলে নিজেদের নিরাপদ মনে না করলে- তারা হাওড়সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ধান কাটতে উৎসাহ নিয়ে যাবেন না। এতে কৃষকদের ক্ষতি হবে। তারা সময়মতো পাকা ধান কাটতে পারবেন না। বিলম্ব হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হতে পারে সোনালি ফসল।
×