ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শুধু জরুরী খাদ্য, জ্বালানি ও কন্টেনারবাহী ট্রেন চলাচল করছে

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২৫ এপ্রিল ২০২০

 শুধু জরুরী খাদ্য, জ্বালানি ও কন্টেনারবাহী ট্রেন চলাচল করছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসের কারণে ঘোষিত জরুরী অবস্থার মধ্যেই নিরাপদে খাদ্য সরবরাহসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২৪ মার্চ থেকে জরুরী খাদ্য, জ্বালানি ও কন্টেনারসহ মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত রেখেছে রাষ্ট্রীয় সেবাদানকারী এ সংস্থাটি। এছাড়া অন্য কোন ট্রেন চলছে না। তাই অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয় শুধু দীর্ঘযুগ ধরে চলে আসা নিয়ম অনুযায়ী এ মহামারীতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশেষভাবে দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য বিশেষ ট্রেন দিয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী মোট ১১টি বিশেষ ট্রেনের মাধ্যমে এসব ভাতা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। রাজধানীর রেলভবনের পরিচালক জনসংযোগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সম্প্রতি ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণার পরও যাত্রীবাহী একটি ট্রেন সিলেটে পৌঁছেছে এমন সংবাদ গণমাধ্যমে আসার প্রেক্ষিতে তার প্রতিবাদস্বরূপ এ বিবৃতি দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চলমান একটি প্রকল্পের মাধ্যমে অন্য মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের মতো রেলওয়ে তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশনের অর্থ অতি শীঘ্রই ব্যাংক এ্যাকাউন্ট কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করার প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে চলছে বলেও জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ১টি ইঞ্জিন, ১টি গার্ড ব্রেক এবং একটি পাওয়ার কার কোচ নিয়ে গঠিত জরুরী কাজে ব্যবহারের জন্য ট্রেন চলাচলের বিষয়টিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম বিশেষ করে সিলেট জেলা প্রশাসন রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সঠিক তথ্য না নিয়েই ভুল তথ্য পরিবেশন করেছে যা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জ্যপূর্ণ নয়। রেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, করোনার এ সময়েও রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অন্য সরকারী সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সকল প্রকার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছে। এ সেবা চলমান থাকবে। দীর্ঘযুগ যাবত কর্মকর্তাদের বেতন চেকের মাধ্যমে এবং অন্য কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশন নগদ টাকায় পরিশোধ করা হয়। তবে বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতির কারণে দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশনের অর্থ বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় অবস্থিত কর্মচারীগণ যাতে সহজেই পেতে পারে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগের অধীন বিভিন্ন রুটে ১টি ইঞ্জিন, ১টি গার্ড ব্রেক এবং একটি পাওয়ার কার সহকারে গঠিত একটি বিশেষ ট্রেনের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাদের বেতন, ভাতা ও পেনশনের টাকা পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
×