স্টাফ রিপোর্টার , সাতক্ষীরা ॥ প্রেম করার অপরাধে প্রেমিকার বাড়ি ডেকে এনে কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রেমিকার পরিবারের তিনজনকে আটক করেছে। কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ঐ ছাত্রের মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার গভীর রাতে তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। নিহত কলেজছাত্রের নাম তুষার জনি(২০)। সে পাইকপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের ছাত্র কলারোয়া পাইকপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে তুষার ওরফে জনির সঙ্গে একই গ্রামের আদম ব্যাপারী নামে পরিচিত কামরুল ইসলামের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে ময়না খাতুনের (১৬) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্র ধরে বুধবার গভীর রাতে ময়না তার প্রেমিক জনির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিল। এ সময় ময়নার বাবা পাশের ঘর থেকে বিষয়টি বুঝতে পারে। এক পর্যায়ে গভীর রাতে ময়নার বাবা কামরুজ্জামান ও চাচা ওয়াহিদুজ্জামান কৌশলে ময়নাকে দিয়ে জনিকে ফোন দিয়ে তাদের বাড়িতে ডেকে এনে বেদম মারপিট করে। গণপিটুনির একপর্যায়ে জনি জ্ঞান হারালে তারা তাকে মৃত ভেবে বাইরে ফেলে রেখে চলে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাতেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থা তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস বিষযটি নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে কামরুজ্জামানের পিতা রিয়াজ উদ্দিন, স্ত্রী আসমা খাতুন, কামরুজ্জামানের ভাই ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলকে আটক করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: