ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তৃণমূলের ২০০ ফুটবল কোচকে সহায়তা তরফদার রুহুল আমিনের

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৪ এপ্রিল ২০২০

তৃণমূলের ২০০ ফুটবল কোচকে সহায়তা তরফদার রুহুল আমিনের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে দিশেহারা বিশ্ব। দিনকে দিন এর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। কেড়ে নিচ্ছে হাজারো প্রাণ। করোনার ভয়াল থাবা দেশের অর্থনীতিকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। মানুষকে বাধ্য করেছে গৃহবন্দী জীবন-যাপনে। করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ক্ষুদে ব্যবসা-বাণিজ্য এখন স্থবির। দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে ফুটবলে। কোচ-খেলোয়াড়দের আয়ের অন্যতম বড় একটি মাধ্যম ফুটবল। মাঠের খেলা বন্ধ থাকায় তাদের আয়-রোজগারে দারুণ প্রভাব পড়েছে। অন্তত যারা তৃণমূল ফুটবল নিয়ে কাজ করেন কিংবা স্বল্প বেতনে দেশের বিভিন্ন ক্লাবে কোচের দায়িত্ব পালন করেন। স্বল্প আয়ের কোচ ছাড়াও পেটে-ভাতে বিভিন্ন ক্লাবে খেলেন এমন ফুটবলাররাও সংকটময় সময় পার করছেন। স্বল্প আয়ের কোচদের এমন দুর্দিনে ত্রাতারূপে এগিয়ে এসেছেন তৃণমূল ফুটবলের রূপকার, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের কর্ণধার, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের (বিডিডিএফএ) মহাসচিব এবং বাংলাদেশ ক্লাবস এ্যাসোসিয়েশনের (বিএফসিএ) সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন। ইতোমধ্যে দেশের সমস্ত জেলার ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ক্লাবগুলোর কাছে দুস্থ, অভাবগ্রস্ত কোচদের তালিকা চেয়ে বার্তাও পাঠিয়েছেন তরফদার। শুক্রবার তিনি এক ভিডিও বার্তায় জানান, ‘আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জেলা, বিডিডিএফএ এবং বিএফসিএ যে একাউন্ট আমরা করেছি করোনা দুর্যোগকে মাথায় রেখে যে তহবিল গঠন করেছি, সেখানে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছি। সেখান থেকে ইতোমধ্যে ৬৪ জেলার ২০০ কোচকে আর্থিক সহায়তা আমরা দিয়েছি। আগামী সপ্তাহে ক্লাবগুলো নিয়ে কাজ করব। ইতোমধ্যে ক্লাবগুলোর কোচের তালিকা প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। তালিকা থেকে ঢাকার ক্লাবগুলোর কোচদের আমরা সহায়তা দেব।’ তরফদার আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ঠিক রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এবং আমরা মনে করি এই প্যাকেজের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য যদি সুনির্দিষ্ট করে একটা প্যাকেজ ঘোষণা করা যায়, যেখান থেকে যারা ফুটবল তৈরির কারিগর, যারা কোচ, সংগঠক, ফুটবলার ও রেফারি আছেন, তারা যদি ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পায়, তাহলে তারা এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে। পরিস্থিতির অনেকটা উত্তরণ ঘটবে।’
×