ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক দূরত্বের মন্দের ভাল হাতিরপুল বাজার

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৫ এপ্রিল ২০২০

 সামাজিক দূরত্বের মন্দের ভাল হাতিরপুল  বাজার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার বিষয়টি এখন সর্বত্র বলা হচ্ছে। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে রোগতত্ত্ববিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনই দেশের জনগণকে করোনার সংক্রমণ রোধে নিজের, পরিবারের, সমাজ ও দেশের স্বার্থে নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে নির্দেশনা দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে মুখে মাস্ক পরিধান করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরের বাইরে চলাফেরা করতে হবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে হাট-বাজারে তো একেবারেই মানা হচ্ছে না। ইতোমধ্যে রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে দোকানিদের কয়েকজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কারণে, কাঁচাবাজারে বেচাকেনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখাই যেখানে অনিয়মে পরিণত হয়েছে সেখানে রাজধানীর হাতিরপুলের বাজারটি যেন মন্দের ভালো। রাজধানীর অন্যান্য বাজারের তুলনায় এ বাজারটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতা-বিক্রেতার বেচাকেনা চলছে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, হাতিরপুল বাজার থেকে কাঁটাবনমুখী রাস্তাটি ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। প্রবেশপথে পুলিশের একাধিক সদস্য দাঁড়িয়ে মাইকে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দ্রুত বাজার সেরে বাড়ি ফেরার জন্য মাইকে ঘোষণা দিচ্ছেন। ভেতরেও তিন ফুট দূরত্বে গোলাকার বৃত্ত এঁকে ক্রেতাদের দাঁড়িয়ে বাজার করার সুযোগ করে দেয়া হযেছে। একদিক দিয়ে প্রবেশ করে আবার এদিকে ফিরে এসে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বাজার করে কাঁটাবনমুখী রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যেতে হচ্ছে। অবশ্য যাতায়াতের জন্য কাঁটাবন থেকে হাতিরপুল হয়ে ইস্টার্ণ প্লাজা অভিমুখী রাস্তাটি খোলা রাখা হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, অন্যান্য বাজারের তুলনায় হাতিরপুল বাজারে মোটামুটি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচা চলছে। বাজারের ভেতরের পরিবেশ ভাল হলেও রাস্তার ওপারেই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বালাই নেই। রাস্তা-ঘাটে ইচ্ছেমতো লোকজন ঘোরাফেরা করছে। ফুটপাতে দোকানিদের কাছ থেকে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে পণ্য কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাজারে প্রবেশের একমুখী রাস্তা করে দেয়ায় এবং ভেতরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য গোলাকার চিহ্ন এঁকে দেয়া হয়েছে। সেখানে ‘মন্দের ভালো’ হিসেবে সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজার সদাই চলছে। তবে অভ্যাসবশত অনেকের মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব না মানার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
×