ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে লকডাউন না মেনে রাস্তায় মানুষের ভীড়

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৪ এপ্রিল ২০২০

নীলফামারীতে লকডাউন না মেনে রাস্তায় মানুষের ভীড়

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ মরনব্যাধি নভেল করোনা ভাইরাসের থাবার সংক্রামন থেকে রক্ষা পেতে সরকারী সকল উদ্যোগ বজ্রমুষ্ঠি ফসকা গেড়োতে পরিনত হয়েছে। লকডাউন এবং সরকারী নির্দেশ এবং আইন শৃংখলা বাহিনী ও পুলিশের রক্ষচক্ষু উপেক্ষা করে রাস্তায় বাড়ছে মানুষের ঢল। কোন অবস্থাতেই মানুষের স্রোত যেন থামানো যাচ্ছে। ফলে নীলফামারী এখন ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও। করোনায় সংক্রামক হবার ঝুঁকি থাকার পরও বাহিরে বের হওয়া মানুষজনের অনেকেই মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেনা। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অথচ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষের রাস্তায় বের হওয়া বন্ধ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে অব্যাহত ভাবে মাইকিং করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ জেলা প্রশাসনের পক্ষে তথ্য অফিস, উপজেলা পরিষধ ও পৌরসভা।কিন্তু তার পরেও সকল নিদের্শ আদেশ অমান্য করে রাস্তায় নামছে মানুষ। গত ৯ এপ্রিল থেকে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী নীলফামারী জেলাকে লক ডাউন ঘোষনা করেন। লকডাউন ঘোষনা হলেও বিশেষ করে উত্তরা ইপিজেড এই লকডাউনকে উপেক্ষা করে ফ্যাক্টরী চালু অব্যাহত রাখে। যা চলামান রাখায় সেখানে প্রতিদিন ৩৫ হাজার শ্রমিক প্রতিদিন আপডাউন করছে। এ জেলায় করোনা নমুনা পরীক্ষায় এক কিশোরী সহ ১০জনের শরীরে করোনার লক্ষন পাওয়া যাওয়ায় তারা জেলার জেনারেল হাসপাতালের আইসেলেশন ওয়াডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জেলায় করোনা রোগী থাকার পরেও এলাকাবাসী কোন আদেশ ও ঘোষনা মানছেনা। শহর গ্রাম যেন শত চেনায় পরিনত হচ্ছে।সকল নিয়মকানুন উপেক্ষা করে তারা বেপরোয়া ভাবে হাটবাজার রাস্তায় নেমে পড়ছে। সকাল থেকেই প্রধান সড়ক অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথে দেখা বিপুল সংখ্যক মানুষ ও ছোট যানবাহনের চলাচল। খোলা রয়েছে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট। জরুরি সেবার বাইরে রাস্তায় বেচা কেনা হচ্ছে জিনিষ পত্র । দোকানের সার্টার অর্ধেক নামিয়ে বেচাকিনি চলছে বিভিন্ন দোকানে দোকানে । প্রশাসনের বেঁধে দেয়া নিদিষ্ট সময়ের বিকল্প কাঁচা বাজারের সাথে সাথে মুদি দোকানে উপছে পড়ছে ক্রেতার ভিড়। বিভিন্ন রাস্তার মোড় , সড়কে ও গলির মুখে রিকশা, অটো রয়েছে যাত্রীর অপেক্ষায়। অনেক সড়কে জটলা করে কাজের অপেক্ষা করছেন শ্রমজীবি, শ্রমিক, দিনমজুর। । এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে না বের না হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও সন্ধ্যার পর অলিগলিতে যুবক ও তরুণদের আড্ডা ও মোটরসাইকেল চলাচল। পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন সরকারীভাবে এবং পৌরসভার পক্ষে মানুষজনকে সচেতনা মেনে চলার আহবান করা হচ্ছে। কিন্তু যে যার মতো চলাচল করছে। এ বিষয়ে জেলায় কঠোর অবস্থা গ্রহন করা হবে।
×