ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

৫ মে পর্যন্ত আদালতে ছুটি

প্রকাশিত: ১১:০২, ২৪ এপ্রিল ২০২০

৫ মে পর্যন্ত আদালতে ছুটি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত দেশের সব আদালত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সীমিত পরিসরে সুপ্রীমকোর্ট ও সপ্তাহে দুই দিন দেশের জেলা দায়রা জজ আদালত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে আপীল বিভাগের বিচারপতিদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে সুপ্রীমকোর্টেও আপীল বিভাগে চেম্বার কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগে একটি বেঞ্চ অতীব জরুরী বিষয়গুলো নিষ্পত্তিতে বসবেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রীমকোর্টেও রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে অতীব জরুরী বিষয়গুলো শুনানির নিমিত্তে ছুটিকালীন সময়ে সুপ্রীমকোর্টেও আপীল বিভাগের বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান আপীল বিভাগের চেম্বার কোর্টে বসবেন। তাছাড়া ছুটিকালীন সময়ে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সব অধিক ক্ষেত্রের অতীব জরুরী বিষয়গুলো শুনানির নিমিত্তে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। আদালত পরিচালনার কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের নিয়ম-কানুনের বিষয়ে বিচারপতিরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। করোনাভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে সরকারী আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনও বন্ধ রয়েছে। কেবল জরুরী প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা রয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে দেশের নি¤œ আদালতে কঠোরভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সপ্তাহে দুইদিন সীমিত আকারে জরুরী জামিন শুনানি করা যাবে। বৃহস্পতিবার সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক নোটিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নোটিসে বলা হয়, করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজকে এবং মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজকে ছুটিকালীন সময়ে তাদের সুবিধা মতো প্রতি সপ্তাহে যে কোন দুইদিন কঠোরভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরী জামিন শুনানির জন্য সীমিত আকারে আদালত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হলো। ‘চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ছুটিকালীন সময়ে সুবিধা মতো প্রতি সপ্তাহে দুইদিন কঠোরভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরী জামিন শুনানির জন্য সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হলো।’ নোটিসে আরও বলা হয়, একটি মামলার জামিন শুনানিতে কেবল একজন আইনজীবী অংশগ্রহণ করবেন। আদালত প্রাঙ্গণে শারীরিক দূরত্বের নিয়মকানুন কঠোরভাবে অনুসরণ করা না হলে কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে। ‘আদালত প্রাঙ্গণে এবং এজলাস কক্ষে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। জামিন শুনানিকালে কারাগারে থাকা আসামিদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে বা অন্য কোনভাবে আদালত প্রাঙ্গণে ও এজলাস কক্ষে হাজির না করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে নোটিসে।
×