ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

করোনার পর পোশাক রফতানি আয়ে উল্লম্ফন হতে পারে ॥ সিপিডি

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ২৩ এপ্রিল ২০২০

করোনার পর পোশাক রফতানি আয়ে উল্লম্ফন হতে পারে ॥ সিপিডি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের চলমান সংকট কেটে গেলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ে উল্লম্ফন হতে পারে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বৃহস্পতিবার ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৭ম বার্ষিকী-কোভিড-১৯ : সংকটের মুখে শ্রমিক ও মালিক-সরকারি উদ্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় সিপিডির পক্ষে এ অভিমত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। আলোচনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘২০০৮-০৯ সালে যে বৈশ্বিক আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছিল তারপর আমরা দ্রুত ফিরে আসতে পেরেছিলাম। ২০১০ সালের জানুয়ারির পর দ্রুততার সঙ্গে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। তৈরি পোশাক খাত-বহির্ভূত অন্যান্য খাতেরও প্রবৃদ্ধি বেড়েছে পরবর্তী মাসগুলোতে। সুতরাং আমরা আশা করতে পারি, এই চ্যালেঞ্জ চলে গেলে বৈশ্বিক ও স্থানীয় বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করা গেলে এই খাতের একটা উল্লম্ফন দেখা যাবে।’ এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক ঝুঁকি চলে গেলে অল্প মূল্যের গার্মেন্টস পণ্য কেনার চাহিদা বাড়বে। যেহেতু অনেকের আয় কমে যাবে, ফলে নিম্নমূল্যের পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হবে। যেগুলোর জন্য আমাদের দেশের চাহিদা তৈরি হবে। ফলে এটি আমাদের দেশের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে।’ ‘করোনার কারণে ইউরোপের ব্যবসা চীন থেকে সরে বাংলাদেশ আসতে পারে কি-না’-এ ধরনের এক প্রশ্নের উত্তরে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘করোনা পরবর্তীতে বিশ্ব বাজারে কী পরিবর্তন হয়, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্টের সঙ্গে চীনের সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। ইউরোপের অনেক দেশ করোনার জন্য চীনকে দায়ী করছে। কিন্তু ব্যবসার সম্পর্কটা একটু অন্যরকম। অনুযোগ, অভিযোগের কারণে ব্যবসার সম্পর্কে খুব একটা প্রভাব ফেলে না। যেখানে বেশি লাভ হবে, ব্যবসায়ীরা সেখানে যাবে। সুতরাং চীন থেকে সরে ব্যবসায়ীরা অন্য কোথাও যাবে বলে আমার মনে হয় না।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা যদি পলিসিগুলো ঠিকমতো নিই, আমাদের উদ্যোক্তা, শ্রমিকরা যদি টিকে থাকেন, তাহলে করোনা পরবর্তীতে আমাদের একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে। সুতরাং সাময়িক বিপর্যয় কীভাবে কাটানো যায়, সবাই মিলে সেই চিন্তা করতে হবে। যদি আমরা এটা ঠিকভাবে করতে পারি, তাহলে করোনা-পরবর্তীতে বাংলাদেশ তার সক্ষমতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে।’
×