ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সারতাজ আলীম

‘স্কাই হান্টার’ চীনাদের আধিপত্য বিস্তারের গল্প

প্রকাশিত: ১১:১০, ২৩ এপ্রিল ২০২০

‘স্কাই হান্টার’ চীনাদের আধিপত্য বিস্তারের গল্প

‘এটা চীনা বিমান বাহিনী, তোমরা আমাদের আকাশ সীমায় প্রবেশ করেছ, পথ পরির্বতন কর এবং বের হয়ে যাও...’ সারা বিশ্বকেই নিজেদের মনে করা আমেরিকার বিমানগুলো দক্ষিণ চীন সাগরে দাদাগিরি করতে গেলে রেডিওতে ভেসে আসে এই সতর্কবার্তা। গত কয়েক বছর যাবত চীন তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের উপর জোর দিয়েছে। সেটা দক্ষিণ চীন সাগর থেকে শুরু করে সিনেমার পর্দাতেও। সিনেমার গল্প গড়ে উঠেছে একদল এলিট যুদ্ধবিমান পাইলটদের নিয়ে। দক্ষতায় সেরা এই পাইলটদের দলের নাম স্কাই হান্টার ঘটনার সূত্রপাত, মধ্য এশিয়ার প্রতিবেশী একটি দেশের সামরিক ঘাঁটি দখল করে নেয় সন্ত্রাসীরা। ওই ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য পরিবারসহ কয়েকজন চাইনিজ ট্রেইনার ছিল। জিম্মি করা হয় সবাইকে। ব্যালিস্টিক মিসাইলের দখল নেয় সন্ত্রাসীরা। তাদের নেতাকে ছেড়ে না দিলে মিসাইল হামলার হুমকি দেয়, যার রেঞ্জে চীনও রয়েছে। ঘাঁটি উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয় আক্রান্ত দেশটি। পরবর্তীতে চাইনিজদের সহযোগিতা চায়। চাইনিজ বাহিনী নিজেদের জিম্মিদের উদ্ধার এবং মিসাইল নিষ্ক্রিয় করতে আকাশ এবং স্থলপথে অপারেশন শুরু করে। সিনেমায় নিজেদের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা দেখাতে কমতি রাখেনি পরিচালক। চাইনিজদের ফাইটার জেট, ড্রোন, হেলি, স্পাই স্যাটেলাইট থেকে শুরু করে দুর্দান্ত ডগফাইটের গ্রাফিক্সে সব কিছুই তুলে আনা হয়েছে সিনেমাতে। তুলে আনা হয়েছে এয়ার মিশনের খুঁটিনাটি বিষয়ও। তবে কিছু দৃশ্য এলোমেলো ছিল। এ্যাকশনে অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে গিয়ে ংঃড়ৎু নঁরষফঁঢ় থেকে সরে গেছেন পরিচালক। কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন চেন লি। একই সঙ্গে সিনেমার পরিচালকও ছিলেন তিনি। পরিচালক হিসেবে এটিই ছিল তার প্রথম সিনেমা। মান্দারিন এবং ইংরেজীতে সিনেমাটি ২০১৭ সালে মুক্তি পায়। চাইনিজরা সিনেমাটি নিজেদের টপ গান বললেও পশ্চিমারা একে চাইনিজদের প্রোপাগান্ডা বলেছে। তবে রাজনীতির মারপ্যাচ বাদ দিয়ে সব শেষে বলা যায় সামরিক উন্নতির সাঙ্গে চীনের সিনেমা শিল্পও উন্নতি যে উন্নত হয়েছে তার যথাযথ উদাহরণ ‘স্কাই হান্টার’।
×