নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলা সদর উপজেলা থেকে পটুয়াখালি গিয়ে এক দম্পতি করোনা আক্তান্ত হওয়ায় ভোলা সদর উপজেলার ৬ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার বাপ্তা বুড়ির মসজিদ এলাকার ৩ বাড়ি এবং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চরপাতা গ্রামের ৩ বাড়ি লকডাউন করা হয়। মঙ্গলবার রাত ১০টায় ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান লক ডাউন করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অপর দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মঙ্গলবার রাতে আবদুল রব নামে (২০) এক যুবক মারা গেছে। পেশায় ওই যুবক কৃষি কাজ করতো। আলী নগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে তার বাড়ি। তবে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পটুয়াখালি এক দম্পত্তি ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা এবং ইলিশা এলাকায় তাদের গ্রামের বাড়িতে কিছু দিন আগে বেড়াতে এসেছিলেন । গত ১৩ এপ্রিল স্বামী সাথে স্ত্রীও পটুয়াখালি ফিরে যান। দুই দিন আগে তাদের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে করোনা টেস্ট করানোর জন্য পটুয়াখালী স্বাস্থ্য বিভাগে নমুনা জমা দেয়া হয়। পটুয়াখালি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ মঙ্গলবার ওই দম্পতির করোনা রিপোর্ট পজেটিভ নিশ্চিত হওয়ার পর ভোলার স্বাস্থ্য বিভাগকে জানিয়েছে। তারা বর্তমানে পটুয়াখালি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এ তথ্য পাওয়ার পরপরই ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা বুড়ির মসজিদ এলাকার স্বামীর বাড়িসহ ৩ বাড়ি এবং পশ্চিম ইলিশার চরপাতা মালের হাটে স্ত্রীর বাড়িসহ ৩ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
অপর দিকে ভোলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: সিরজাউদ্দিন জানান, ভোলা আলী নগর ইউনিয়নের ২০ বছরের এক যুবক মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। তার শ্বাস কস্ট থাকায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল প্রেরণ করা হয়। পরে কনসালটেন্ট ডাক্তার রোগীকে দেখে রিলিজ করেন। ইতি পূর্বেও সে পেটে ব্যাথা ও বমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদিকে বিকেলে ওই রোগীর বাড়িতে শ্বাস কস্ট দেখা দিলে ডা: মো: মিজানুর রহমানকে দেখান। তিনি ওই রোগীর এক্সরে করে তার সন্দেহ হয় হার্টের সমস্যা। তখন তাকে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে ইসিজি করা হয়। তাতে হার্টের কিছুটা সমস্যা পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই রোগী সাথে থাকা ২ অভিবাবক জানান, অসুস্থ যুবকের সাথে নারায়নগঞ্জ ও বিদেশের কোন লোকের সংস্পর্শ ছিলো না। এর মধ্যে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যায়। ওই যুবকের নমুনা রির্পোট যদি পজেটিভ আসে তা হলে তার সংস্পর্শে আসা সকলের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। ভোলা সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী জানান, হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়।