ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নীলফামারী থেকে বিভিন্ন জেলায় ১৭৭ জন কৃষি শ্রমিক প্রেরণ

প্রকাশিত: ০১:৪০, ২২ এপ্রিল ২০২০

নীলফামারী থেকে বিভিন্ন জেলায় ১৭৭ জন কৃষি শ্রমিক  প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ জেলা সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলার থানা পুলিশের সহায়তায় দেশের বিভিন্নস্থানে ধান কাটতে প্রেরণ করা হয়েছে ১৭৭ জন কৃষি শ্রমিক। আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলাপুলিশ কন্ট্রোলরুম। সুত্র মতে করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে লকডাউন চলছে। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। দেশের বিভিন্নস্থানে আগাম বোরো ধান পেকে গেলেও শ্রমিক সংকটে তা ঘরে তুলতে পারছেনা কৃষকরা। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশের সহায়তায় ওই শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা সহ নিরাপদ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেরণ করা হচ্ছে। সুত্র মতে জেলার জলঢাকা উপজেলা থেকে ৮৪ জন শ্রমিকের মধ্যে গাজীপুরে ১৮জন, নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলবিলে ২৯ জন ও কুমিল্লায় ৩৭ জন। ডোমার উপজেলা থেকে ৯ জন শ্রমিককে প্রেরন করা হয় নাটোর। ডিমলা উপজেলা থেকে ১২জন ও সৈয়দপুর উপজেলা থেকে ১৪ জনকে প্রেরন করা হয় টাঙ্গাইলে, নীলফামারী সদর হতে নওগাঁর আত্রাই গ্রামে প্রেরণ করা হয় ৯জন, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা থেকে কুমিল্লা প্রেরণ করা হয় ৪৯ জনকে। নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান দেশের যেসব অঞ্চলে বোরো ধান কাটার মৌসুমে শুরু হয়েছে সে সকল স্থানগুলোতে শ্রমিক সংকটে পড়েছে সেখানে ধাপে ধাপে ধানকাটা শ্রমিক প্রেরণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যেসব কৃষি শ্রমিক কর্মহীন হয়ে বসে আছেন এবং ধান কাটতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে চান, তারা স্ব-স্ব এলাকার থানায় থানায় এসে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা তাদের সেসব অঞ্চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তিনি বলেন গত দুইদিনে ১৭৭ জন ধারকাটা শ্রমিককে প্রেরণ করা হয়েছে। আরো প্রেরণ করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিত কুমার বর্ম্মন জানান যে সকল শ্রমিককে দেশের বিভিন্নস্থানে ধান কাটার জন্য প্রেরণ করা হচ্ছে তাদের স্বাস্থ বিভাগের পক্ষে শারিরীক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে অনুমতি প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিজন শ্রমিককে এ জন্য নিয়মিত মাক্স ব্যবহার ও হাত ধোয়ার জন্য সাবান দেয়া হয়েছে।
×