ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মহাগ্রাসী করোনাভাইরাস ॥ এ লড়াইয়ে জিততে হবে

প্রকাশিত: ০৯:১০, ২২ এপ্রিল ২০২০

মহাগ্রাসী করোনাভাইরাস ॥ এ লড়াইয়ে জিততে হবে

অদৃশ্য এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীব পুরো বিশ্বকে তছনছ করে দিয়েছে। কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য জীবন। তার গতিপথ অপ্রতিরোধী। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিজ্ঞানের আধুনিকতম যুগে, মানুষের অগোচরে, মানুষকে অসহায় করে। বিশ্বব্যাপী নানা গবেষণা চলছে। এর মধ্যে বলা হয়েছে গ্রীষ্মপ্রধান দেশে অপেক্ষাকৃত কম হতে পারে আক্রমণ। কিন্তু আমেরিকার লুজিয়ানা এবং মিয়ামী বর্তমানে উষ্ণ বলে রোগীর সংখ্যা কিন্তু কম নয়। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনে অজানা কারণে নিউমোনিয়া রোগী শনাক্ত হয় এবং ১১ জানুয়ারি ২০২০ প্রথম রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। জানুয়ারি ৩০, ২০২০ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে। ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নোভেল করোনাভাইরাসকে কোভিড-১৯ হিসেবে নামকরণ হয়। চীনের পর বিশ্বব্যাপী দ্রুত জ্যামিতিক হারে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ে। কোন কোন দেশে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার কোথাও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম থেকেই সময়োচিত গাইডলাইন এবং দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। প্রথমেই বলেছে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা বাড়াতে। এটা অনুসরণ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুর অনেকেই সফলতা পেয়েছে। বর্তমান বিশ্বে কোভিড-১৯ এর গতিপ্রকৃতির ওপর বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ মন্তব্য পাওয়া গেছে- বিভিন্ন দেশের মৃতের হারের বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১) জনসংখ্যার বয়সের অনুপাত, ২) স্বাস্থ্য সেবার সক্ষমতা, ৩) পরীক্ষার সংখ্যা। ১) জনসংখ্যার বয়সের অনুপাত : বয়স্ক লোকরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুবরণ করছে। পাশাপাশি যাদের দীর্ঘস্থায়ী রোগ আছে যেমনÑ ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুসের অসুখ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিম্নমুখী। যে দেশে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বেশি সে দেশেই মৃত্যুর হার বেশি দেখা যাচ্ছে। ২) স্বাস্থ্য সেবার সক্ষমতা : রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধার মধ্যে প্রয়োজন যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসার সরঞ্জামাদি, হাসপাতাল শয্যা সংখ্যা এবং আইসিইউ। এখানে আইসিইউয়ের গুরুত্বটাই বেশি দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ রোগীরা খুব কম সময়ে তীব্র নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শ্বাসযন্ত্র অকার্যকর করে ফেলে। এটা প্রতিরোধে আইসিইউর কোন বিকল্প নেই। প্রতি লাখ মানুষের বিপরীতে জার্মানির আইসিইউ শয্যা সুবিধা ২৯টি, যুক্তরাষ্ট্র ৩৪, ইতালি ১২ আর স্পেনে ১০টি। শেষের দুই দেশের মৃত্যুহার অন্য দেশগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি। কিন্তু উল্টো চিত্র দক্ষিণ করিয়ায়, মাত্র লাখে ১০টি। তার পরেও তারা মৃত্যুর হার নামিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে এক ভাগেরও নিচে। খুব দ্রুত সংক্রমণের হারও কমিয়েছে। যা সম্ভব হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনের কঠোর পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে। এ ছাড়া দেশটি কমপক্ষে তিন লাখ জনগণের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করেছে। তার মধ্যে নয় হাজার জনের ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। বড় আকারে পরীক্ষার উদ্যোগের কারণে তারা সংক্রমণ ও মুত্যু দুটোই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হয়েছি। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোন্ দেশের স্বাস্ত্যসেবা কতটা সক্ষম, সেটিও বড় ভূমিকা রাখছে। করোনভাইরাসে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের বাঁচতে প্রয়োজন কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্র। যেসব রোগী পর্যাপ্ত শয্যা আর নিবিড় পর্যবেক্ষণের যন্ত্রাদি পাবেন তাদের বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। না পেলে থাকে মৃত্যু ঝুঁকি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা সেখানে এখন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭ হাজার ৫৩৫। অথচ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগে দেড় মাসের বেশি সময় পেয়েছিল। দুর্ভাগ্য, ট্রাম্প প্রশাসন বিষয়টাকে প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি। এপ্রিল জুড়ে সেখানে লকডাউন ঘোষণা করেছে। প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ গত ৮ মার্চ ২০২০ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচার ও প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করে। বাজার, গণমাধ্যম ও পত্রপত্রিকা সচেতনতা সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জনগণ যথেষ্ট সচেতন হয়েছে বলেও মনে হয়। সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ ১. মুজিবর্ষের অনুষ্ঠান সঙ্কুচিত করা ২. স্বাধীনতা দিবস, বাংলা নববর্ষের সকল অনুষ্ঠান বাতিল ৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা, এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত ৪. অফিস-আদালত বন্ধ ঘোসণা ৫. গণপরিবহন, নৌপথ, বিমানপথ বন্ধ ঘোষণা ৬. ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা ৭. জনপ্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীকে নিয়োগ। ৮। সীমিত আকারে ব্যাংক, কাঁচাবাজার, খাবার দোকান খোলা রাখা। ৯। অল্প আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য ও অর্থ সহযোগিতা প্রদান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩১ মার্চ গণভবন থেকে ৬৪ জেলায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খোঁজখবর নেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। করণীয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুরু থেকেই সময়োচিত দিকনির্দেশনা দিয়ে চলেছে। প্রথমেই তারা বলেছে : পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা। দ্বিতীয়ত বলেছে : সন্দেহভাজন ব্যক্তি (সোর্স) পৃথকীকরণ, পরীক্ষা করা আর পর্যাপ্ত চিকিৎসা প্রদান। সর্বশেষ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৬টি পরামর্শ দিয়েছে। এসবের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করণীয় নির্ধারণ করেছেÑ ১। সচেতনতা : অতি সাধারণ কিছু বিষয় মেনে চললে একজন নিজেকে করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখতে পারবে। সেগুলো হচ্ছে- (ক) হাঁচি-কাশি থেকে ১ মিটার (৩ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখুন, (খ) হাতের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছেÑ সন্দেহজনক স্থানে হাতের স্পর্শ লাগলে হাত ভাল করে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নাক-মুখ-চোখ হাতের স্পর্শ থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। (গ) মাছ, মাংস, ডিম ভাল করে সিদ্ধ করে খাবেন। (ঘ) ভিড় এড়িয়ে চলুন। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার করোনামুক্ত ঘোষণা না করবে ততক্ষণ এগুলো মেনে চলতে হবে। ২। সামাজিক দূরত্ব : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু সামাজিক দূরত্বের নিয়ম-কানুন মেনে চললেই করোনার সংক্রমণে অর্ধেক মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম এড়ানো, গণপরিবহন ব্যবহার না করার মতো বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে। ৩। কোয়ারেন্টাইন (সঙ্গনিরোধ) : ২ রকম (ক) প্রতিষ্ঠানিক : সেখানে সরকারী ব্যবস্থাপনায় কঠোরভাবে নিয়ম অনুসরণ করা হয়। এ রকম ব্যবস্থা যত বৃদ্ধি করা যাবে তত মানুষ নিরাপদ থাকবে। (খ) হোম কোয়ারেন্টাইনÑবাড়িতে দু রকমÑ ১। সুস্থ মানুষ যাতে আক্রান্ত না হয় সে জন্য তারা নিজেরাই সকল নিয়ম-কানুন মেনে নিজে এবং নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখবে ২। সন্দেহভাজন ব্যক্তি সবার থেকে আলাদা থাকবে কমপক্ষে ১৪ দিন আলাদা কক্ষ, আলাদা খাবার গ্রহণ, আলাদা পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখার জন্য তাকে এটি করতে হবে। ৪। পরীক্ষা (রোগ নির্ণয়) : ইতোমধ্যে সরকার পরীক্ষার সুযোগ অনেক বৃদ্ধি করেছে। ২৯টি ল্যাবের পরিকল্পনায় ১১টি চালু করেছে। আরটি-পিসিআর সব সময় সঠিক নির্ণয় নাও করতে পারে। সেক্ষেত্রে উপসর্গ যাদের আছে তাদের ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার করতে হবেÑ এই পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞগণ। ৫। চিকিৎসা : কোভিড-১৯ এর রোগীদের আইসোলেশন (বিচ্ছিন্নকরণ) বাধ্যতামূলক। কারণ এত দ্রুত ছড়ানো রোগ এর আগে দেখা যায়নি। এ জন্য পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং রোগীদের চলাচল একেবারে অন্য সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। কোনক্রমেই কোভিড-১৯ এর রোগীর সঙ্গে অন্য রোগীদের একই হাসপাতাল রাখা সঠিক হবে না। কোয়ারেন্টাইন এবং আইসিইউসহ হাসপাতালের সংখ্যা পর্যাপ্ত বাড়িয়ে প্রস্তুতি থাকতে হবে। ৬। স্বাস্থ্য কর্মীদের ঝুঁকি নিরসনে ব্যবস্থা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১ এপ্রিল বলেছেন, তাদের পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (চচঊ) কমে আসছে। সে কারণে পিপিইর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যারা কোভিড-১৯ এর সংস্পর্শে না আসবে পিপিই তাদের ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই। পিপিই, পরীক্ষা কিটসহ সকল প্রয়োজনীয় জিনিষ পর্যাপ্ত মজুদ রাখতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবহন, খাবারসহ সব নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৭। সমন্বয় : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল বিভাগের এবং সংশ্লিষ্ট আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রাখতে হবে। ৮। নেতৃত্ব : পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কার্যক্রমে সঠিক নেতৃত্ব, চেন অব কমান্ড এবং সমন্বয় অত্যন্ত জরুরী। মুহূর্তের মধ্যেই জরুরী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হতে হবে। ৯। অন্য রোগীদের চিকিৎসা : ঢাকা বা বিভাগীয় শহরের বড় হাসপাতালগুলো অন্যান্য রোগীর জন্য নির্দিষ্ট রাখতে হবে। কোনক্রমেই যেন অন্য রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত না হয় এবং কোভিড-১৯ রোগীদের সঙ্গে সংমিশ্রণ না ঘটে। ১০। মাস্ক ব্যবহার : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বার বার বলেছে, কোভিড-১৯ রোগী বা তাকে বহনকারী ব্যক্তি ছাড়া কারও মাস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। অহেতুক মাস্ক ব্যবহারে বরং ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গোটা বিশ্ব আজ করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত। এগিয়ে চলেছে এক অজানা, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। মানুষের জীবন গভীর সঙ্কটের মুখোমুখি। অচল হয়ে পড়েছে সভ্যতা। ধ্বংসের মুখে বিশ্ব অর্থনীতি। এ মুহূর্তে অজানা এক ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের মুখোমুখি বিশ্ববাসী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ রকম ভয়াবহ সঙ্কট বিশ্ববাসী দেখেনি। অতীতের সকল দুরবস্থাকে অতিক্রম করে চলেছে করোনাভাইরাসÑ এক অদৃশ্য অণুজীব। ব্যর্থ হচ্ছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মহাশক্তি ও অর্থনীতি। করোনা মানছে না ধনী-দরিদ্র, সাদা-কালো ধর্ম-অধর্ম, সীমানা। এক কাতারে নিয়ে এসেছে গোটা বিশ্বকে। বাংলাদেশের রয়েছে লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস। লড়াই করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনেছি, এনেছি গণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন। আজকে বাংলাদেশের সকল মানুষকে দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে কঠিন দৃঢ় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখন পরাজয়ের ইতিহাস নেই। আজ এমনই এক সময় যখন কেউ নিরাপদ নয়। তাই, সবাইকে সকল নিয়ম-কানুন, নির্দেশনা অনুসরণ করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। জার্মানিতে এই রোগে খুব অল্প সংখ্যক মানুষই মৃত্যু বরণ করেছে। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৫৪৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৫৮ জন। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে তরুণদের পরীক্ষা করানোই জার্মানির এই নিম্ন মৃত্যুহারের অন্যতম কারণ। দেখা গেছে, সে দেশ পরীক্ষা করে কম এবং যারা খুব বেশি অসুস্থ তাদেরই কেবল পরীক্ষা করতে চায়, তাদের মধ্যে মৃত্যু হার বেশি। লেখক : সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×