ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিত্যপণ্যের দাম আরেকদফা বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৭:২১, ২১ এপ্রিল ২০২০

নিত্যপণ্যের দাম আরেকদফা বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রোজা সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম আরেকদফা বেড়েছে। চাল, আটা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে চিনি, রসুন, আদা ও ছোলার দাম। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে পামওয়েল তেলের দাম। তবে সয়াবিনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, কাপ্তান বাজার, খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় নগরীর স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজা সামনে রেখে নিত্য ও ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। তবে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দাম কমতে পারে। এজন্য বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এদিকে, রোজার আগে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। চলমান লকডাউনের কারণে সাধারণ দিনমজুর, খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ বিশেষ করে সিএনজি চালক, রিকশা চালক, অটো চালক, ঠেলা চালক, চা বিক্রেতা ও ফল বিক্রেতার মতো ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন খরচ মেটানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া অনেকটা মরার ওপর খাড়ার ঘা। ফকিরাপুল বাজার থেকে নিত্যপণ্যের কেনাকাটা করে ফিরছিলেন, দিনমজুর সালাম বেপারী। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্যকেনা সম্ভব হয়নি। বাজারে এখন কিছটা কমে পাওয়া যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের ডিম। কিন্তু ব্রয়লার মুরগি রান্না করতে আদা ও রসুনসহ অন্যান্য মসলা পাতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু এসব মসলা এত দাম যে কেনাই যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এককেজি আদা ২২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এই আদা ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে খুচরা বাজারে। এভাবে আদাসহ রসুন, পেঁয়াজ, আলু, ভোজ্যতেল সব কিছু এখন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রোজা সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়া সাধারণ ভোক্তারাও তাদের কেনাকাটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ কারণে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি’র তথ্যমতে, বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। এখন বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ দেশী ৫৫-৬০, রসুন দেশী ১১০-১৩০, আমদানিকৃতটি ১৪০-১৬০, চিনি ৬৫-৭৫, আদা ২২০-৩৫০, মশুর ডাল মোটা দানা ৯০-১০০, ডিম ফার্ম ২২-২৭, পামওয়েল ৭৫-৮০, পামওয়েল সুপার ৮০-৯০, ছোলা মানভেদে ৭৫-৮৫, সয়াবিন প্রতিলিটার ৯৩-৯৫, সয়াবিন পাঁচ লিটারের ক্যান ৪৯০-৫৩০, চাল সরু ৬০-৬৮, মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা ৫৬-৫৮ এবং স্বর্ণা ও চায়না ইরি ৪৫-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। কাপ্তান বাজারের মুদি পণ্যের ব্যবসায়ী আব্দুল গনি মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, রোজা সামনে রেখে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার কারণেও দাম বেড়ে থাকে। তবে রোজার শুরুর পর থেকে জিনিসপত্রের দাম কমবে। এখন সবাই বেশি বেশি করে কেনাকাটা করছেন। এছাড়া বাজারে শাক-সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছ-মাংস আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
×