ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২১ এপ্রিল ২০২০

২৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার

ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে ঈগল বিলুপ্তপ্রায়। তবে গবেষকরা আশার কথা শোনাচ্ছেন। তারা বলছেন, সদর্পে ফিরে আসছে ঈগলের দল। এটা অবশ্য এমনি এমনি হয়নি। এর জন্য নেয়া হয় বিশেষ প্রকল্প, যা আশার আলো দেখাচ্ছে। আয়ারল্যান্ডের গ্লেনভেগ ন্যাশনাল পার্কে ২০০১ সাল পর্যন্ত গোল্ডেন ঈগল প্রজাতির কোন পাখি দেখা যায়নি। পরে গোল্ডেন ঈগল ট্রাস্টের সহায়তায় স্কটল্যান্ড থেকে ওই প্রজাতির ঈগল সংগ্রহ করে অবমুক্ত করা হয়। এখন তারা সংখ্যায় বেড়ে অনেক হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হলো ইংল্যান্ডে। আর সে কারণেই ২৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের নর্থ ইয়র্ক মুরসের আকাশে উড়তে দেখা গেল বিলুপ্তপ্রায় একটি হোয়াইট-টেলড ঈগলকে। ইংল্যান্ডে হোয়াইট-টেলড ঈগল বিলুপ্তপ্রায় পাখিতে পরিণত হয়েছে। অথচ সী ঈগল নামে পরিচিত এই পাখি পৃথিবীতে ঈগলের সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় থাকা প্রজাতি। দেশটিতে এই প্রজাতির ঈগলের সংখ্যা বাড়াতে নেয়া হয় পাঁচ বছরের একটি প্রকল্প। কাজটি করে রয় ডেনিস ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন এ্যান্ড ফরেস্ট্রি ইংল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের গ্লেনভেগ ন্যাশনাল পার্ক যেখান থেকে ঈগল এনেছিল, ওই প্রকল্পের আওতায় সেই স্কটল্যান্ড থেকেই ওই প্রজাতির ঈগল সংগ্রহ করা হয়। তাদের ছেড়ে দেয়া হয় দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় আইল অব ওয়াইসের বন্য এলাকার দিকে। হোয়াইট-টেলড ঈগল যেন অন্য জায়গায় চলে না যায়, সেজন্য কাজ করেছেন একদল বিশেষজ্ঞ ও নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবী। পাখিগুলো যাতে সুন্দর আর সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে বড় হতে পারে সেজন্য খাবার দেয়াও হয়েছে। খাবারের সন্ধানে মানব বসতির দিকে গিয়ে উইন্ড মিলে যেন আটকে না যায়, কাঁচের ঘরে যেন ধাক্কা না খায় কিংবা যেন কোন বিপদে না পড়ে; সেজন্য খাবার দিয়ে তাদের ওই অঞ্চলেই রাখা হয়। তারা যেন অঞ্চলটিকেই তাদের বাড়ি মনে করে, সেজন্যই সব আয়োজন। প্রকল্পের মূল পরিকল্পনাকারী রয় ডেনিস বলেন, চমৎকার সব পাখির পুনঃপ্রবর্তন বা ফিরে আসা নিয়ে আমি আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছি। সে হিসেবে বলতে পারি, হোয়াইট-টেলড বা সী ঈগলকে ইল্যান্ডের আকাশে উড়তে দেখতে পাওয়াটা দারুণ আনন্দের। ইংল্যান্ডের দক্ষিণে ওই প্রজাতির ঈগলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া মানে হল্যান্ড, ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ডেও তাদের সংখ্যা বাড়বে। দক্ষিণ ইউরোপের অর্ধেক এলাকাজুড়ে ওই প্রজাতির ঈগলের সংখ্যা বাড়ানো প্রকল্পটির একটিই উদ্দেশ্য। রয় ডেনিস ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পাখিগুলোর পায়ে রেডিও ট্রান্সমিটার লাগানো আছে। এর মাধ্যমে তাদের গতিবিধি ট্র্যাকিং করা হয়। সেখান থেকে জানা গেছে, একটি হোয়াইট-টেলড ঈগল অক্সফোর্ডশায়ার থেকে ১৫ দিনে ২০০ মাইল পাড়ি দিয়ে নর্থ ইয়র্ক মুরস ন্যাশনাল পার্কে গেছে। -গুড নিউজ
×