ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বললেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ওয়েন রুনি, সময়ের দুই সেরা ফুটবলারের তুলনায় রোনাল্ডোর চেয়ে মেসিকে এগিয়ে রাখলেন কিংবদন্তি

‘একদিন সব রেকর্ড নিজের করে নেবে হ্যারি কেন’

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ২১ এপ্রিল ২০২০

‘একদিন সব রেকর্ড নিজের করে নেবে হ্যারি কেন’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আধুনিক যুগে ইংলিশ ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকার নাম ওয়েন রুনি। তারকা এই ফরোয়ার্ড ২০১৭ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে পাড়ি জমান শৈশবের ক্লাব এভারটনে। পুরনো ক্লাবে ফিরে এসে নিজের হারানো ফর্মও ফিরে পান মেজাজি এই তারকা। এক বছর সেখানে খেলার পর ২০১৮ সালে আবারও ঠিকানা পরিবর্তন করেন। সেবার পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ডিসি ইউনাইটেড। আর চলতি বছর থেকে খেলছেন দ্বিতীয় সারির স্বদেশী ক্লাব ডার্বি কাউন্টিতে। ক্লাব দল ম্যানইউর মতো অনেক আগেই ইংল্যান্ড জাতীয় দলে অপাঙক্তেয় হয়ে যান রুনি। অফফর্মের কারণে মেজাজি এই ফুটবলার সুযোগ পাননি কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের দলে। তবে মনের কোণে সুপ্ত বাসনা ছিল ইংল্যান্ডের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলার। তার সেই স্বপ্নপূরণের সুযোগ করে দেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ২০১৮ সালের ১৫ নবেম্বর রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের হয়ে শেষবার মাঠে নামেন রুনি। নিজের বিদায়ী ম্যাচে গোল না পেলেও জয় পায় ইংলিশরা। মনের কোণে বাসনা ছিল, ইংল্যান্ডের হয়ে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেয়ার। এক বছর পর স্বপ্নপূরণ হয় ম্যানইউ কিংবদন্তির। অথচ বয়স খুব বেশি তা নয়। জুভেন্টাসের পর্তুগীজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর চেয়েও এক বছরের ছোট। অথচ আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিয়েছেন রুনি। এতদিন পর জাতীয় দলে নিজের পারফর্মেন্স নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। আক্ষেপ করেছেন আরও কিছু করতে না পারার। আর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বর্তমান ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনের। রুনির বিশ্বাস, একদিন ইংল্যান্ডের হয়ে সব গৌরবময় রেকর্ডের মালিক হবেন টটেনহ্যাম হটস্পার তারকা। পাশাপাশি সময়ের দুই সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও লিওনেল মেসির মধ্যে তুলনায় বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকেই এগিয়ে রাখছেন ৩৪ বছর বয়সী রুনি। দীর্ঘ ১৬ বছর (২০০৩-১৮) রুনি খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। এক যুগেরও বেশি সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। দুই জার্সিতেই গড়েছেন সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। যদিও নিজেকে সহজাত স্কোরার ভাবেন না। তবে ক্যারিয়ার লম্বা হওয়ায় আরও গোল করা তার উচিত ছিল বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ইউনাইটেডের হয়ে ক্লাব রেকর্ড ২৫৩ গোল রুনির নামের পাশে। দেশের হয়ে করেছেন সর্বোচ্চ ৫৩ গোল। দুই জায়গাতেই ভেঙেছিলেন স্যার ববি চার্লটনের রেকর্ড। সাক্ষাতকারে ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে রুনি বলেন, এটা আপনাকে অবাক করতে পারে, তবে আমি সহজাত স্কোরার নই। আমি কখনোই গ্যারি লিনেকার বা রুড ফন নিষ্টলরয়ের মতো ছিলাম না। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের হয়ে গোলের রেকর্ড আমার দখলে। এজন্য আমি গর্বিত। আমার চেয়ে আরও ভাল স্ট্রাইকার ছিল। বর্তমানে দ্বিতীয় সারির দল ডার্বি কাউন্টিতে খেলা সাবেক এই তারকা বলেন, আমি ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছি ১৩ বছর, ১৫ বছর খেলেছি ইংল্যান্ডের হয়ে। রেকর্ড দুটি ভাঙার মতো সময় আমার হাতে ছিল। পেছন তাকালে বুঝতে পারি, আমার আরও গোল করা উচিত ছিল। তবে আমার বিশ্বাস একদিন এসব রেকর্ড সব নিজের করে নেবে হ্যারি কেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এক সঙ্গে খেলেছেন রোনাল্ডো ও রুনি। ২০০৮ সালে চেলসিকে হারিয়ে জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা। পরের বছর রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমান সি আর সেভেন। দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপার খুব কাছ থেকে ব্যর্থ হন রুনি। ২০০৯ ও ২০১১ সালে ইউরোপ সেরার আসরের ফাইনালে বার্সিলোনার কাছে হেরে যায় ম্যানইউ। দুই ম্যাচেই কাতালানদের হয়ে গোল করেন মেসি। তাই তো খুদে জাদুরকর সম্পর্কে বেশ ভালমতোই অবগত রুনি। তিনি বলেন, ডি বক্সে রোনাল্ডো নির্মম, একজন খুনী। আর মেসি মারার আগে অত্যাচার করে। গোলের সংখ্যার দিক থেকে এই দুই জন খেলাটাকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। আমি মনে করি না, ওদের মতো আর কেউ আসবে। রোনাল্ডোর সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের পরও আমি মেসিকে বেছে নেব। মেসি সবার সেরা।
×