ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক ধান কাটতে হাওড় এলাকায়

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ২১ এপ্রিল ২০২০

চট্টগ্রামের দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক ধান কাটতে হাওড় এলাকায়

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ দেশজুড়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে হাওড় অঞ্চলে ফসলের মাঠ থেকে ধান কাটার জন্য চট্টগ্রাম থেকে দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক যাচ্ছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত রবিবার ৫ বাসযোগে ইতোমধ্যে একশ’ জনকে পাঠানো হয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক প্রেরণের। এ কাজে সহযোগিতায় নেমে এসেছে বিশিষ্ট শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপ। এ প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত ৪০টি বাসযোগে দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক হাওড়ে যাচ্ছে। এসব শ্রমিক অষ্টগ্রামে পৌঁছার পর সেখানকার পুলিশ প্রশাসন তাদের গ্রহণ করবে। থাকার ব্যবস্থা করবেন। সেখানে পৌঁছলে তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এরপর তারা ধান কাটায় অংশ নেবেন। সিএমপি সূত্র জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ শতাধিক হাওড় রয়েছে। প্রতি মওসুমে এসব এলাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিকরা ধান কাটার কাজে যায়। এবার করোনা পরিস্থিতিতে গণপরিবহন বন্ধ এবং বিভিন্ন এলাকা লকডাউনে থাকায় নির্ধারিত সময়ে ধান কাটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে চট্টগ্রাম থেকে ধান কাটার জন্য শ্রমিকদের নাম নিবন্ধিত করা হয়েছে নগরীর বাকলিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে। সেখানে তাদের জড়ো করে গ্রুপে গ্রুপে প্রেরণ করা হচ্ছে। গাইবান্ধা নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, চলতি বোরো মৌসুমে চলনবিল এলাকায় কৃষি উৎপাদন সচল রাখতে এবং উৎপাদিত ধান কাটা এবং মাড়াই কাজের জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে কৃষি শ্রমিকের ২২ জনের একটি প্রাথমিক দল পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থেকে নাটোর জেলার সিংড়া থানার চলনবিল অঞ্চলে প্রথম এ কৃষি শ্রমিকের দল পাঠানো হয়। এর আগে গোবিন্দগঞ্জ থানা মসজিদ চত্বরে আগত কৃষি শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়াও শ্রমিকদের মাঝে দুইটি করে উন্নতমানের মাস্ক বিতরণ করা হয়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া একটি বিশেষ বাসে করে শ্রমিকরা চলনবিল এলাকায় রওনা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মণ, থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান, টিআই নূর রুহুল, ওসি তদন্ত আফজাল হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার খালেদুর রহমান প্রমুখ। লালমনিরহাট নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট থেকে জানান, হাওড়ের পাকা ধান কাটতে লালমনিরহাটের ১৪ কৃষি শ্রমিক গেছে। পর্যায়ক্রমে হাওড় অঞ্চলে যত কৃষি শ্রমিক লাগবে ততই যাবে। কৃষি শ্রমিকদের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে স্থানীয় প্রশাসন সকল ধরনের সহায়তা করছে। তবে কৃষি শ্রমিকদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিতে হবে করোনাভাইরাসের উপসর্গ মুক্ত ফিটনেস সার্টিফিকেট। রবিবার বিকেলে এ জেলা থেকে ১৪ কৃষি শ্রমিক সরকারের ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নাটোরের চলন বিলের নিম্নাঞ্চলের পাকা ধান কাটতে চলে গেছে। লকডাউনের কারণে পুলিশ গাড়ি রিকুইজিশন করে দিয়েছে। রাস্তায় যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। খেতমজুরদের বাঁচাতে সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এ অঞ্চলের কৃষি শ্রমিকদের হাওড়ে নেয়া ও কাজ শেষে আবার ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার।
×