ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভেন্টিলেটর উৎপাদন শুরু করছে মিনিস্টার

প্রকাশিত: ১২:০৯, ২০ এপ্রিল ২০২০

ভেন্টিলেটর উৎপাদন শুরু করছে মিনিস্টার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাস রোগীদের শ্বাসকষ্টের জন্য জরুরী চিকিৎসা সরঞ্জাম ভেন্টিলেটর বা অক্সিজেন যন্ত্রের উৎপাদন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার। ভেন্টিলেটর তৈরির এই প্রক্রিয়ায় মিনিস্টারকে সহযোগিতা করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, কয়েকটি সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল ও বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার টিম। ভেন্টিলেটর তৈরির পুরো প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে প্রথম লটে ১০০ ইউনিট ভেন্টিলেটর প্রস্তুত হবে। খবর বিডিনিউজের। স¤প্রতি এক অনলাইন সাক্ষাতকারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বিশ্বখ্যাত মেডিক্যাল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিকের সহায়তায় মিনিস্টারসহ কয়েকটি দেশীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভেন্টিলেটর তৈরিতে এগিয়ে এসেছে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেশে ভেন্টিলেটর উৎপাদন হবে। এ ব্যাপারে আমরা ভীষণভাবে আশাবাদী।’ এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ভেন্টিলেটরের প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে, যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পর তারা এটির পূর্ণ উৎপাদন শুরু করবে। এফবিসিসিআই প্রথম প্রোডাকশন লট থেকে ১০ শতাংশ কিনে নেবে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সেবাদানকারী হাসপাতাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং পরবর্তী লট থেকে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য হাসপাতালে সরবরাহ করবে। এটি এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আরেকটি প্রয়াস।’ চলমান কার্যক্রম নিয়ে মিনিস্টার হাইটেক পার্কের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এম এ রাজ্জাক খান (রাজ) বলেন, ‘মিনিস্টার হাইটেক পার্ক দেশের মানুষের জন্য একটি ভেন্টিলেটর নিয়ে কাজ করছে, যা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দক্ষ প্রকৌশলী, গবেষণা ও উন্নয়ন টিমের অক্লান্ত পরিশ্রম, আইসিটি মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই ও সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল, বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের সহযোগিতার ফলে আমরা সাফল্য অর্জনের কাছাকাছি রয়েছি। আগামী সপ্তাহে আমরা ১০০ ইউনিট ভেন্টিলেটর উৎপাদন করব। পরবর্তী সপ্তাহে ৫০০ ইউনিট, এর পর পর্যায়ক্রমে ১০০০ এবং পরবর্তীতে চাহিদা অনুযায়ী এটি আমরা উৎপাদন করব। এর মূল্য ৭৫-৮৫ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে। এখানে আমাদের ব্যবসায়িক কোন উদ্দেশ্য নেই, বরং আমরা এই ভেন্টিলেটর সরবরাহের মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে এগুলো তুলে দিতে চাই, কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে ব্যবহার করার জন্য।’ তিনি বলেন, মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের নিজস্ব কারখানায় অক্সিজেন ভেন্টিলেশন যন্ত্র তৈরির জন্য কাজ চলছে। এছাড়াও মাস্ক তৈরির জন্য ইতোমধ্যেই মেশিন আনা হয়েছে, দ্রæত মাস্ক উৎপাদনও শুরু হচ্ছে। এ মাসের মধ্যেই এ সব জরুরী চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি শুরু করবে মিনিস্টার। মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের ফ্যাক্টরি পরিচালক মনিরুল হাসান স্বপন বলেন, ‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর খুবই জরুরী। মিনিস্টার সব সময় দেশে ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষাকারী ভেন্টিলেটর তৈরিতে কাজ করছে মিনিস্টার।’
×