ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাইটানিকের শেষ যাত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ২০ এপ্রিল ২০২০

  টাইটানিকের শেষ যাত্রী

বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজে বেকিংয়ের মূল দায়িত্বে ছিলেন চার্লস জোঘিন। ঐতিহাসিক ওই জাহাজডুবির ঘটনায় যে কয়েকজন মানুষ প্রাণে বেঁচেছিলেন, তিনি তাদের মধ্যে একজন। অনেকের মতে, তিনিই শেষ ব্যক্তি যিনি টাইটানিক থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন আটলান্টিক মহাসাগরে। চার্লসের জন্ম ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ৩ আগস্ট, ইংল্যান্ডের বার্কেনহেডে। মাত্র ১১ বছর বয়সেই প্রথম সমুদ্রপাড়ি দেন তিন। পরবর্তীকালেও রন্ধনশিল্পী হিসেবে নামী জাহাজে কাজ পেতে তার সমস্যা হয়নি। টাইটানিকের আগেও তিনি ‘হোয়াইট স্টারলাইন’ ও ‘অলিম্পিক’ নামের দুটি বড় জাহাজে কাজ করেছেন। তিনি মূলত বেকিংয়ের দিকটি দেখতেন। তার অধীনে কাজ করতেন ১৩ জন। টাইটানিকের গায়ে যখন হিমশৈলের আঘাত লাগে তখন তিনি নেশার ঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন। ধাক্কার ফলে জাহাজ কেঁপে ওঠায় তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আসন্ন বিপদের কথা অনুমান করে তার অধস্তন কর্মীদের খাবার মজুদ করার নির্দেশ দেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও অস্বাভাবিক শান্ত ছিলেন চার্লস। তার সঙ্গী ছিলেন ব্র্যান্ডি। জাহাজের ডেকে যেমন অবিচলভাবে বেহালা বাজাচ্ছিলেন বাজনদারেরা, শেফ বেকার চার্লসও নিজেকে শান্ত রেখেছিলেন। নিজের লাইফজ্যাকেটও দিয়ে দিয়েছিলেন অন্য যাত্রীকে। চার্লসই শেষ ব্যক্তি যিনি ডুবন্ত টাইটানিক থেকে ঝাঁপিয়ে ছিলেন মহাসাগরে। তার পর তিন ঘণ্টা ঠান্ডা পানির সাগরে ভেসেছিলেন তিনি। টাইটানিক জাহাজ ডুবেছিল ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল। ১৫ এপ্রিল ভোর বেলা তাকে দেখতে পেয়ে তুলে নেয়া হয় লাইফবোটে। ১৯৫৬ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি প্রয়াত হন ৭৮ বছর বয়সে। -প্রিন্টারেস্ট
×