ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঋণের সুদ ৯ শতাংশ কার্যকর করেছে প্রাইম ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২০ এপ্রিল ২০২০

 ঋণের সুদ ৯ শতাংশ কার্যকর করেছে প্রাইম ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত ১ এপ্রিল থেকে সব ব্যাংক ঋণের সুদ ৯ শতাংশ কার্যকরের ঘোষণা দেয়। বেসরকারী খাতের প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডও ঋণের সুদ ৯ শতাংশ কার্যকর করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাধারণ সম্পাদক রাহেল আহমেদ। গৃহঋণের সুদহার মওকুফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গৃহঋণের সুদহার বর্তমানে কমে এসেছে। আমরা এখনও ৯ শতাংশ সুদ নিচ্ছি। তাই আপাতত আর কমানোর চিন্তা নেই।’ খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাই করবেন কিনা জানতে চাইলে প্রাইম ব্যাংক এমডি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা কর্মী ছাঁটাই এর কোন উদ্যোগ বা পরিকল্পনা করিনি। এমনকি আমার জানা মতে কোন ব্যাংক এ ধরনের উদ্যোগ নেয়নি।’ সাধারণ ছুটির মধ্যেও দেশের ব্যাংক চলছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে দেশের ব্যাংকাররা। তাদের সুরক্ষায় প্রাইম ব্যাংক কি পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে রাহেল আহমেদ জানান, এবছরের শুরুতেই তারা কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, ‘সাধারণ ছুটি ঘোষণার সপ্তাহখানেক আগে থেকে আমরা তাদের রেটেশন ডিউটির ব্যবস্থা করেছে। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভসহ সব ধরনের সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছি। ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ কিছুক্ষণ পরপর পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা।’ ‘এসময়ে নারী কর্মীদের অফিসে না আসার জন্য গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সে সব কর্মী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের অফিসে না আসার জন্য কথা বলা হয়েছে। কর্মীদের অফিসে আনানেয়ার জন্য প্রাইম ব্যাংক নিজস্ব যানবহনের ব্যবস্থা করেছে।’ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার ব্যাংকে বিশেষ কোন উদ্যোগ আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাইম ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে। খুব শীঘ্রই নারীদের জন্য সময় উপযোগী প্রোডাক্ট নিয়ে আপনাদের সামনে আমরা হাজির হবো।’ তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে আমাদের নারীদের জন্য বিভিন্ন সেবার বিষয়টি উন্মোচন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু করোনার কারণে সেটি পিছিয়েছে। একজন গৃহবধূ বা মা-খালাদের জন্য প্রাইম ব্যাংক সেবা নিয়ে আসছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিসহ সমস্ত কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাংক খাত। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আমরা গ্রাহকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। এরমাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে গ্রাহকদের সহায়তা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বর্তমানে লকডাউন চলছে। এমতাবস্থায় ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এজন্য আর্থিক খাত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ ব্যাংক থেকে গ্রাহকের টাকা উত্তোলনের তুলনায় আমনত কমের বিষয়ে হতাশা রয়েছে কি-না প্রশ্নে রাহেল আহমেদ বলেন, ‘না, আমরা মোটেও হতাশ না। কারণ বর্তমানে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে যে টাকা উত্তোলন করছে এটি স্বাভাবিক সময়ের মতো। ব্যাংকের তারল্যের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যেন গ্রাহকরা নগদ অর্থ পেতে কোন সমস্যা না হয়।’ প্রাইম ব্যাংকের এ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনার কারণে আমরা ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করতে পারিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ অনুষ্ঠান করা হবে। সেখানে ২ থেকে ৩ বছরের কর্মপরিকল্পনা থাকবে। সেখানে নতুন প্রোডাক্ট ও থাকবে। এমনকি ঋণের মাত্রাতেও পরিবর্তন আসবে।’
×