ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধোনির বিরুদ্ধে এ কি অপবাদ যুবরাজের!

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ২০ এপ্রিল ২০২০

 ধোনির বিরুদ্ধে এ কি অপবাদ যুবরাজের!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১১ সাল। দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা পুনরুদ্ধার করে ভারত। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত আসরে বাজিমাত করে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮২ রান করেছিলেন গ্রেট শচীন টেন্ডুলকর, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ উইকেট জহির খানের, মুম্বাইয়ে অনবদ্য অপরাজিত ৯১ রানের জন্য ফাইনালে ম্যাচসেরা ধোনি। কিন্তু এদের কেউ নন, ভারতের স্বপ্নজয়ের পুরোধা ছিলেন যুবরাজ সিং। ৯০.৫০ গড়ে ৩৬২ রানের পাশাপাশি বাঁ-হাতি অফস্পিনে ১৫ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার জেতেন তুখোড় এই অলরাউন্ডার। অথচ যুবরাজকে নাকি সেবার বিশ্বকাপের দলে চাননি ধোনি! অধিনায়কের প্রথম পছন্দ ছিল সুরেশ রায়না। রায়নার ফর্ম খারাপ হওয়ায় আর যুবরাজ ধারাবাহিক ভাল করায় ধোনি তাকে বাদ দিতে পারেননি। এতদিন পর অনাকাক্সিক্ষত সেই সত্যটা যুবরাজ নিজেই ফাঁস করেছেন। এক সাক্ষাতকারে অনেক কিছু নিয়েই কথা বলেছেন যুবি। ‘রায়নাকে ধোনি তখন খুব পছন্দ করত, সমর্থন জানাত। প্রত্যেক অধিনায়কেরই পছন্দের খেলোয়াড় থাকে। আর তখন মাহির ফেবারিট ক্রিকেটার ছিল রায়না। ইউসুফ পাঠানের পরফর্মেন্সও ভাল ছিল। আমিও ভাল খেলছিলাম। ব্যাটে রান আসছিল, উইকেটও পাচ্ছিলাম। আর রায়না খুব একটা ভাল ছন্দে ছিল না। এছাড়া দলে তখন বাঁ-হাতি স্পিনার বলতে কেউ ছিল না। এদিকে আমি উইকেটও নিচ্ছিলাম। তাই আমাকে বাদ দেয়ার কোন উপায় ছিল না। নয় তো গল্পটা ভিন্ন হতে পারত! ক্রিকেট বিধাতাকে ধন্যবাদ যে তিনি আমার সঙ্গে ছিলেন। ভারতে হয়ে বিশ্বকাপ জয়ে আমি অবদান রাখতে পেরেছিলাম।’ বলেন যুবরাজ। বোঝাই যাচ্ছে, ধোনির প্রতি এখনও ক্ষোভ রয়ে গেছে যুবরাজের। ৩৮ বছর বয়সী তারকার পরের কথায় সেটা আরও পরিষ্কার। যুবরাজ জানান, তার পছন্দের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। যাকে তিনি ধোনির আগে পেয়েছিলেন, কারণটাও ব্যাখ্যা করেন, ‘ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে তিনিই (সৌরভ) সবচেয়ে বেশি উৎসাহ জুগিয়েছিলেন আমাকে। দাদা তরুণ প্রতিভা লালন-পালন করতেন। উনি বলতেন, চার-পাঁচ জন ছেলেকে দরকার, যারা কিনা শক্তিশালী দল গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আর তাদের সবারই পাশে ছিলেন দাদা।’ ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধ সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন যুবরাজ। আর সুযোগ পাননি। যুবরাজের বাবা প্রকাশ্যে বলতেন, ‘অধিনায়ক ধোনির কারণেই এভাবে আমার ছেলের ক্যারিয়ার থেমে গেছে।’ আর সে অভিযোগ যে একেবারে মিথ্যে নয়, খোদ যুবরাজের এই মন্তব্য সেটিই ইঙ্গিত করে। কেবল ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ই নয়, ২০০৭ সালে টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যেও বড় অবদান ছিল ক্রেজি যুবরাজের। সেবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছয় বলে ছক্কা মেরে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নকআউট ম্যাচেও ৩০ বলে খেলেছিলে ৭০ রানের টর্নেডো ইনিংস। যা ভারতের ফাইনালে ওঠার রাস্তা প্রশস্ত করে দিয়েছিল। তার ব্যাট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল অস্ট্রেলিয়ানরা।
×